এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার সংখ্যালঘুরাও ক্ষিপ্ত হচ্ছে রাজ্য সরকারের উপর? দিল্লি ফেরত জামাতিদের অভিযোগে ঝড় রাজ্যে!

এবার সংখ্যালঘুরাও ক্ষিপ্ত হচ্ছে রাজ্য সরকারের উপর? দিল্লি ফেরত জামাতিদের অভিযোগে ঝড় রাজ্যে!


করোনা ভয়াবহতার মধ্যেই এবার ফের অস্বস্তি বাড়ল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। এবার দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দেওয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের অভিযোগের মুখে পড়তে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। বস্তুত, লকডাউন প্রথম দফা শুরু হওয়ার পরেই সেই আইনকে অমান্য করে দিল্লির নিজামুদ্দিনে তাবলীগী জামাতের সদস্যদের একটি সমাবেশ করতে দেখা যায়। যার পরেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

যেখানে লকডাউন চলছে, সেখানে কেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই কাজ করলেন! তার ব্যাপারে বিরোধিতা শুরু করে অনেকেই। পরবর্তীতে এই জমায়েতের জন্য অনেক ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস বাড়তে শুরু করে। তবে মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্য থেকেই বিভিন্ন তীর্থযাত্রীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে তারা অনেকেই নিজের বাসস্থানে গেলেও, অনেককেই দিল্লির সরকারি কোয়ারেন্টাইন রেখে চিকিৎসা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরবর্তীতে তারা সুস্থ হয়ে গেলে তাদেরকে ছেড়ে দেয় দিল্লি সরকার। আর সেই মত পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু তাবলীগী জামাতের সদস্যরা সুস্থ হয়ে বাংলায় ফিরে আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুলে সরব হলেন। সূত্রের খবর, প্রায় দেড় মাস পর শুক্রবার বাসে করে পশ্চিমবঙ্গে পা রাখেন বেশকিছু জামাত সদস্যরা। তবে বাংলায় প্রবেশের সাথে সাথেই তারা অভিযোগ করেন যে, রাজ্যে সীমানায় পৌছতেই তাদের ব্যাপক হেনস্থা করা হয়েছে। গোটা রাত তাদের সীমান্তে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।

পরবর্তীতে সকালে তাদের কলকাতা পাঠানো হয়েছে। আর দীর্ঘদিন পর রাজ্যে ফিরলে এভাবে এই জামাত সদস্যদের বাড়ি না ফিরিয়ে সারারাত দাঁড় করিয়ে রাখার যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে সেই সদস্যরা সরব হওয়ায় এখন অস্বস্তি বাড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। অনেকে বলছেন, এমনিতেই করোনা মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ব্যর্থ বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তার ওপর এবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এই সমস্ত মানুষরা সেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় এখন রাজ্যের অস্বস্তি দ্বিগুণ পরিমাণে বৃদ্ধি পেল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

এদিন এই প্রসঙ্গে এক জামাতি বলেন, “আমরা রোজার মধ্যে প্রায় 60 ঘণ্টা বাসে করে রাজ্যে ফিরেছি। এরপর আমাদের সীমান্তে আটকে রাখা হয়। আমাদের বলা হয় যে পরীক্ষা হবে। সেখানে রাতভর দাঁড় করিয়ে রেখে আমাদের কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। আর এবার কড়া রোদের মধ্যে আমাদের দাঁড় করিয়ে ভাবে হয়রানি করছে সরকার।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে জামাত সদস্যদের হেনস্থার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্ট শোরগোল রাজ্য-রাজনীতিতে। এখন সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রশ্নের উত্তরে কি বলা হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!