এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > “উপেক্ষিত হতে হতে কেউ যদি পক্ষ বদলে কর্ণ” হতে চাওয়া নেতারাই কি এবার তৃণমূলের ঘুম ওড়াবে?

“উপেক্ষিত হতে হতে কেউ যদি পক্ষ বদলে কর্ণ” হতে চাওয়া নেতারাই কি এবার তৃণমূলের ঘুম ওড়াবে?

আর কিছুদিন পরেই রাজ্যের হেভিওয়েট কেন্দ্র বলে পরিচিত খড়্গপুর বিধানসভার উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই সেখানে রাজনৈতিক পারদ চরমে উঠতে শুরু করেছে। নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেও, বিজেপির দখলে থাকা এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করতে বেশ সময় নেয়। তবে শেষ পর্যন্ত প্রেমচাঁদ ঝাঁকে তারা এখানে প্রার্থী করেছে। যা নিয়ে বিজেপির অন্দরে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ।

আর বিজেপির অন্দরে তৈরি হওয়া এই অসন্তোষকে কাজে লাগিয়েই তৃণমূল এখানে তাদের প্রার্থী প্রদীপ সরকারের জয় নিশ্চিত করবে বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু তৃণমূলেও যেভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভেসে আসতে শুরু করেছে, তাতে ঘাসফুল শিবিরের পক্ষে তা অত্যন্ত ক্ষতিকারক হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু সব তো ঠিকঠাকই ছিল। হঠাৎ কি এমন হল, যার কারণে এমন জল্পনা তৈরি হচ্ছে! বস্তুত, এই কেন্দ্রে তৃণমূলের কে প্রার্থী হবে, তা নিয়ে দুই হেভিওয়েটের তীব্র লড়াই চলছিল।

খড়গপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার বনাম জেলা তৃণমূলের নেতা তথা এই পৌরসভার কাউন্সিলর দেবাশীষ চৌধুরীর মধ্যে টিকিট কে পাবেন সেই নিয়ে তীব্র দড়ি টানাটানি চলেছে। তবে শেষ পর্যন্ত প্রদীপ সরকারের নামই এই কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে তৃণমূল নেতৃত্ব। যার পর সকলে একসাথে দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে ময়দানে নামবে বলে তৃণমূলের তরফে শোনা গেলেও, এদিন দেবাশিসবাবুর ঘনিষ্ঠের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তীব্র জল্পনা ছড়িয়ে পড়ল!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন দেবাশীষ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ এক নেতা ফেসবুকে লেখেন, “উপেক্ষিত হতে হতে কেউ যদি পক্ষ বদলে কর্ণ হয়ে যায়, তবে কি খুব অন্যায় হবে!” আর জেলা তৃণমূল নেতা তথা এই কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী পদের দাবিদার থাকা দেবাশীষ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির এই ধরনের মন্তব্য ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি দলের বিরুদ্ধে গিয়েই এবার অন্য কিছুর কথা ভাবছেন দেবাশিসবাবুর অনুগামী?

অনেকে বলছেন, উপেক্ষিত হতে হতে দলীয় স্তরে দেবাশিসবাবু প্রার্থী না হওয়ার ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ এই নেতা। যা খড়গপুর উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়লাভের পথে প্রবল কাটা হয়ে দাঁড়াবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে এই ব্যাপারে আলাদা কথা বলেছেন দেবাশীষ চৌধুরী নিজে। এদিন তিনি বলেন, “গত লোকসভা ও বিধানসভা প্রেক্ষাপট আলাদা। বিজেপির ভোট ভাঙলে আমাদের প্লাস হবে।” অন্যদিকে এদিন শহরে এসে সকলের সঙ্গে কথা বলে সকলকে একযোগে কাজ করার বার্তা দেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি।

তিনি বলেন, “সমস্ত মতপার্থক্য মিটে গিয়েছে। আমরা বিজেপির ভোট পাব।” একইভাবে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী থাকতে দেখা গেছে এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারকেও। কিন্তু প্রদীপবাবুকে নিয়ে বিতর্ক কমছে না কিছুতেই। এদিন প্রদীপ সরকার এবং বিজেপির প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝাকে একসাথে গল্প করার একটি ভিডিও ফাঁস হয়ে যায়। যা নিয়ে নানা মহলে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বা পুরপ্রধান হিসেবে প্রেমচাঁদবাবু আগে তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।

এটা অনেকদিন আগেকার ভিডিও বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রদীপ সরকার নিজেও। একইভাবে সম্প্রতি কোনো কথা হয়নি। আগে তিনি প্রদীপ সরকারের কাছে পুরপ্রধান হিসেবে গিয়েছিলেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন এই খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝাও। তবে, এত করেও শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ‘আন্ডার কারেন্ট’-এর ভয় পাচ্ছে সব মহলই। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লোকসভা নির্বাচনে অনেক ক্ষতি করে দিয়েছিল। তবে ঘাসফুল শিবিরের আশার কথা – অতীতে এসব কিছু সামলে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবারও তার অন্যথা হবে কি? সব মিলিয়ে নানা দড়ি টানাটানির মধ্যে এখন খড়গপুরে কার প্লাস এবং কার মাইনাস হয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!