‘অভিমানী’ মদন মিত্রের সঙ্গে কি দলের দূরত্ত্ব তৈরি হচ্ছে? বিশেষ খবর রাজ্য January 11, 2018 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অনুগত সৈনিকদের’ অন্যতম ছিলেন মদন মিত্র। ‘ছিলেন’ এই কারণেই লিখতে হচ্ছে কারণ সাম্প্রতিক কালের ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোথাও যেন দুরাততো তৈরি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। কামারহাটির এই ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ’ নেতা ২০১১ এর বিধানসভায় জিতে স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের গুরুত্ত্বপূর্ন মন্ত্রী হন। কিন্তু এর পরেই তাঁর নাম জড়িয়ে যায় সারদা কেলেঙ্কারিতে, জেলে যেতে হয় তাঁকে, হারাতে হয় মন্ত্রীত্ত্বও। কিন্তু জেলে থাকাকালীন অবস্থাতেও পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নজিরবিহীনভাবে তিনি বিধানসভার টিকিট পান, কিন্তু জেতা হয় না আর। আগেই ‘প্রাক্তন মন্ত্রী’ হয়ে গিয়েছিলেন, ২০১৬ এর পরে হয়ে যান ‘প্রাক্তন বিধায়ক’, কিন্তু তাতে একদিক দিয়ে ‘শাপে বর’ তাঁর কাছে। যে প্রভাবশালী তকমা গায়ে জড়িয়ে সিবিআই তাঁকে জেলে রেখেছিল, গা থেকে সেই তকমা খুলে যেতেই মেলে জামিন। কিন্তু কোথাও যেন ছন্দটা কেটে গিয়েছিল। জামিন পেলেও তৃণমূলনেত্রীর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে আর ঢোকা হয় না। এমনকি ২১ শে জুলাইয়ের মঞ্চেও স্থান পান নি, যদিও পরে তিনি জানান যে তিনিই নাকি মঞ্চে ওঠেননি। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত ব্যাপারটা আসলে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকা’, দূরত্ত্ব কোথাও যেন তৈরি হয়েছে সেটা স্পষ্ট। এরপর হঠাৎ করেই শোনা যায়, আসন্ন নোয়াপাড়া উপনির্বাচনে টিকিট পেতে পারেন মদন মিত্র। কিন্তু টিকিট তো দূরস্থান, রাজ্যে ঘটে যাওয়া একের পর এক উপনির্বাচনে প্রচারের জন্যও ডাক পাচ্ছেন না তিনি। এমনকি আজকাল তাঁর ডাক পড়ে না পুরসভার নির্বাচনের প্রচারেও। ফলে ‘অভিমানী’ মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি জানিয়েছেন, আমি তো এখন দলের লাস্ট বয়! আমাকে কেন ডাকবে? এখন তো ফার্স্ট, সেকেণ্ড দিয়েই চলে যাচ্ছে! আর একদা দলনেত্রীর অন্যতম ‘কাছের মানুষ’ মদন মিত্রের এই ‘অভিমানী’ কণ্ঠই নাকি গুঞ্জন বাড়িয়ে দিচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। আপনার মতামত জানান -