এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে হেভিওয়েট সংখ্যালঘু মন্ত্রীর? আবার ভোটে লড়া নিয়েই শুরু জল্পনা!

তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে হেভিওয়েট সংখ্যালঘু মন্ত্রীর? আবার ভোটে লড়া নিয়েই শুরু জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তিনি রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। বর্তমানে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যখন টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে, ঠিক তখনই রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হতে শুরু করল। সূত্রের খবর, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী আদৌ তৃনমূলের হয়ে প্রার্থী হবেন কিনা, তা নিয়ে একটি বড় মাপের সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে তৃণমূলের তরফে তাকে প্রার্থী করা হলেও, তিনি আদৌ ঘাসফুল প্রতীকে লড়বেন কিনা, তা অবশ্যই ভাবার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেকের কাছেই। কিন্তু কেন এই জল্পনা হঠাৎ মাথাচাড়া দিল? তাহলে কি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী দলবদল করার মত কোনো সিদ্ধান্ত নিলেন?

জানা গেছে, সিদ্দিকুল্লা সাহেবের মূল সংগঠন জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ নিয়েই এখন প্রধান সমস্যা। একাংশের অভিযোগ, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী তৃণমূল বিধায়ক হওয়ার পর তার সঙ্গে এলাকায় শাসকদলের অসহযোগিতা ফলে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বস্তুত, এই সামাজিক সংগঠন সাধারণত কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে না। তবে তাদের কোনো সদস্য যদি কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রার্থী হয়, তাহলে সেখানকার ওয়ার্কিং কমিটির একটি সম্মতি প্রয়োজন। বর্তমানে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। তাই এমতাবস্তায় সাত সদস্যের বিশেষ কমিটি গড়ে এখন সিদ্দিকুল্লা সাহেব তার সম্মতি না নিয়ে যে নির্বাচনে লড়তে পারবে না, তা কার্যত পরিষ্কার। আর এখানেই আগামীদিনে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর রাজনৈতিক ভবিষ্যত এবং তার প্রার্থী হওয়া নিয়ে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, নতুন ওয়ার্কিং কমিটির পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব দিয়ে বলা হয়েছে, “রাজ্য পর্যায়ের সভাপতি শীর্ষপদ হলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সর্বোচ্চ মঞ্চ ওয়ার্কিং কমিটি। তাই জমিয়তের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।” অর্থাৎ সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সংগঠনের সভাপতি হলেও এক্ষেত্রে যে ওয়ার্কিং কমিটিই যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, তা কার্যত পরিষ্কার। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন বিজেপির প্রভাব বাড়ছে, তখন সংখ্যালঘু মুখ তথা রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী যদি তৃণমূলের হয়ে ময়দানে না নামেন বা লড়াই করার মত সিদ্ধান্ত থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেন, তাহলে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটে অনেকটাই প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশের মতে, গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মুখ কিছুটা হলেও রক্ষা হয়েছে এই সংখ্যালঘু ভোটের জন্য। সেদিক থেকে তাদের দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তথা সংখ্যালঘু মুখ জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের সভাপতি যদি ওয়ার্কিং কমিটির সম্মতির অভাবে না লড়ার সুযোগ পান, তাহলে তৃণমূল এই সংখ্যালঘু ভোট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন বলেই দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তবে শেষ পর্যন্ত যদি ওয়ার্কিং কমিটির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে সায় না আসে, তাহলে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন? সংগঠনের সভাপতি হিসেবে ওয়ার্কিং কমিটির কথা মেনে নেবেন, নাকি সেই সংগঠনের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি তৃণমূলের টিকিটে লড়বেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন “যে পরিস্থিতির মুখোমুখি আমাকে হতে হয়েছে, তার সুরাহা চেয়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতাদের কাছে বারবার আর্জি জানিয়েছি। এখন জমিয়তের কমিটি গোটা বিষয়টি বিবেচনা করবে।” তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ কার্যত নিশ্চিত, যদি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তৃণমূলে এর প্রভাব পড়তে বাধ্য। কারণ তৃণমূলের একটা সংখ্যালঘু অংশের বিরাট সমর্থক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ফলে তিনি যদি ওয়ার্কিং কমিটির নীতি মানেন তাহলে সেই সমস্ত সংখ্যালঘু সমর্থকদের ভোট কার দিকে যাবে, তা অবশ্যই চিন্তার বিষয় তৃণমূলের কাছে। তবে গোটা বিষয়টি এখন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর উপরেই নির্ভর করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কি সিদ্ধান্ত নেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, তার সংগঠন এবং তৃণমূল কংগ্রেস, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!