এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > কোনোদিনই কি মুক্তি মিলবে না করোনার হাত থেকে? চরম সঙ্কটে মানবজাতি? নতুন গবেষণায় বাড়ছে আতঙ্ক!

কোনোদিনই কি মুক্তি মিলবে না করোনার হাত থেকে? চরম সঙ্কটে মানবজাতি? নতুন গবেষণায় বাড়ছে আতঙ্ক!

বিশ্বের সর্বত্র এই মুহূর্তে প্রত্যেকটি মানুষ চরম আতঙ্কিত এবং আতঙ্কের আরেকটি নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। এতদিনে সবার কাছে পরিষ্কার করোনার উৎপত্তিস্থল নিয়ে। বেশ কিছু মাস আগে চীনের ইউহান প্রদেশ থেকে প্রথম করোনার উৎপত্তি হয়। সেখান থেকে ক্রমে সমগ্র চীনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে করোনা এবং তারপর পাড়ি জমায় বিশ্বের অন্যান্য দেশে। সারা বিশ্বজুড়ে এই মুহূর্তে করোনার মারাত্মক প্রাদুর্ভাবে মারা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ।

পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার এর ব্যাপারে মরণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে প্রথম থেকেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে আসছিলেন, একমাত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলেই এই মুহূর্তে করো নার হাত থেকে কিছুটা নিরাপত্তা মিলবে। যে কারণে এই মুহূর্তে প্রায় গোটা বিশ্ব হয়ে গেছে গৃহবন্দী। বিশ্বজুড়ে চলছে লকডাউন। ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে মহামারি রূপে ঘোষণা করেছেন।

এই সংকটকালে এখন বিশ্বের প্রত্যেকটি মানুষ একটি আশা নিয়ে বসে আছে। কবে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হবে? আর কবে জীবাণুমুক্ত হবে আমাদের পৃথিবী! কিন্তু এই আশঙ্কাও দেখা যাচ্ছে, আদৌ কি করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার সম্ভব? এ প্রসঙ্গে বেশকিছু গবেষক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইতিমধ্যে। সম্প্রতি ইউ কের মেডিকেল অফিসার ক্রিস্টোফার হুইতি জানিয়েছেন, হয়তো করোনার ভ্যাকসিন কোনদিনই আবিষ্কার হবেনা। আর যদি তা হয়, তাহলে আজীবন এই ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়ে বা বলা ভালো করোনার আতঙ্ককে সাথে নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে মানুষকে।

ক্রিস্টোফার হুইতি সেখানকার পার্লামেন্টারি কমিটিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার পর কি দীর্ঘসময়ের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় শরীরে? সে কথা কেউ কিন্তু এখনো পর্যন্ত জানেনা। তাই করোনার প্রতিষেধক নিয়েও কোন নিশ্চয়তা এই মুহূর্তে তৈরি হচ্ছেনা। তবে তিনি জানান, ভ্যাকসিন তৈরি যে একেবারেই অসম্ভব তা নয়। কিন্তু সেই ভ্যাকসিন তৈরি করা অত্যন্ত কঠিন। কারণ ইতিমধ্যে বহু জায়গায় দেখা গিয়েছে, যে ব্যক্তি একবার করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে গেছেন তিনি দ্বিতীয়বার একই রকম ভাবেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ক্রিস্টোফার হুইতির সুরে সুর মিলিয়ে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক ডেভিড নবারোও একই কথা বলেছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, করোনার ভ্যাকসিন হয়তো কোনদিনই তৈরি করা সম্ভব হবেনা। কারণ হিসেবে তিনি জানান, কিছু কিছু ভাইরাসের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন তৈরি করা মারাত্মক কঠিন। এক্ষেত্রেও হয়তো সেরকম পরিস্থিতি আসতে চলেছে। তাই সাধারণ মানুষকে আগামী দিনে হয়তো করোনাকে সঙ্গী করেই বেঁচে থাকতে হবে।

তবে তিনি আশা রেখেছেন, ভ্যাকসিন হয়তো আবিষ্কার নাও হতে পারে। কিন্তু কিছু ওষুধ হয়তো খুব তাড়াতাড়ি সামনে আসতে চলেছে, যার দ্বারা করোনার সংক্রমণ থেকে হয়তো সাময়িক স্বস্তি মিলবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে ব্যক্তি একবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি যে দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হননি, সেরকম প্রমাণ এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে সেকথাও প্রমাণিত হয়নি এখনো পর্যন্ত। তবে বিশ্বের অনেক দেশের প্রশাসন জানাচ্ছেন, যাঁরা একবার সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন, তাদের আর কারো করোনা হওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

আর সেটাই সবথেকে চিন্তার। কারণ এর ফল হচ্ছে উল্টো। আরও মারাত্মক আকারে ছড়াচ্ছে করোনা। সুতরাং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাচ্ছে মানবদেহে, একথা সম্পূর্ণ ভুল। এর পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ সামনে আসেনি যার দ্বারা প্রমাণিত হয় করোনা আক্রান্ত হলে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। এর আগে ডিজিজ সোস্যাইটি অফ আমেরিকার পক্ষ থেকে ড. মেরি হেডেন জানিয়েছেন, ‘আমাদের ধরে নিতে হবে যে সুস্থ হয়ে গেলেও ওই রোগী ফের সংক্রামিত হতে পারেন। কারণ, সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে যাওয়ার প্রমাণ এখনও মেলেনি।’

এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ মারাত্মক চিন্তায় রয়েছেন। যদিও আমেরিকাসহ ব্রিটেন, ইতালি, জার্মানি জানিয়েছে, তাঁরা করোনার ভ্যাক্সিন তৈরিতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু তা সত্বেও এখনো পর্যন্ত ইতিবাচক কোনো কথা শোনা যায়নি। করোনার প্রতিষেধক নেই একথা যেমন সত্যি তেমন একথাও সত্যি সারা বিশ্বের বিভিন্ন কোণে তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা ও গবেষকরা মরণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কিভাবে সারা বিশ্বকে করোনার হাত থেকে রক্ষা করা যায়। তবে বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা মেনে চলছেন বলে জানিয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!