এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > ঘাটালে বিজেপির পাল্লা ক্রমশ ভারী হওয়াতেই কি সিআইডি দিয়ে আটকানোর চেষ্টা? জল্পনা বাড়ালেন ভারতী ঘোষ

ঘাটালে বিজেপির পাল্লা ক্রমশ ভারী হওয়াতেই কি সিআইডি দিয়ে আটকানোর চেষ্টা? জল্পনা বাড়ালেন ভারতী ঘোষ


২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যখন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করছিলেন – তখন তালিকায় প্রথম নামটিই ছিল – ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে বঙ্গ সিনেমার সেই মুহূর্তের ‘হার্টথ্রব’ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। চমকে গিয়েছিল সাংবাদিককুল থেকে শুরু পুরো রাজ্য-রাজনীতিই। দেবের উপর ‘দিদির’ সেই ভরসা বিফলে যায় নি – হাসতে হাসতে ঘাটাল থেকে নিজের ‘ক্যারিশমায়’ জিতেছিলেন দেব। তবে দুর্জনে বলে – সেই জয়ের পিছনে দেবের নিজস্বস ‘ক্যারিশমার’ পাশাপাশি – তৃণমূল নেত্রীর ‘তৎকালীন মেয়ে’ পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের হাতযশ কম ছিল না!

এরপর গঙ্গা দিয়ে বহু জল গড়িয়ে গেছে – কপালেশ্বরী-কেলেঘাই দিয়েও কম জল গড়িয়ে যায় নি! ‘মায়ের’ উপর অনাস্থা দেখিয়ে ‘মেয়ে’ আপাতত পুলিশের চাকরি ছেড়ে – নাম লিখিয়েছেন বিরোধী গেরুয়া শিবিরে। আর গেরুয়া শিবিরও ভারতীদেবীর কর্মক্ষেত্র পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে তাঁর ‘জনপ্রিয়তাকে’ কাজে লাগিয়ে তাঁকে নির্দ্বিধায় ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে বঙ্গ সিনেমার সুপারস্টার দেবের বিরুদ্ধেই প্রার্থী করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে যখন রাজ্যে শাসক বনাম বিরোধীর মধ্যে জোর তরজা চলছে, ঠিক তখনই এবার ফের বিপাকে পড়লেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ।

সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার তথা বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে জেরা করবার জন্য তাঁর দাসপুরের বাড়িতে শুক্রবার একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দাসপুরের সোনা ব্যাবসায়ী চন্দন মাঝি ঘাটাল আদালতে একটি মামলা করলে এর ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশের সিআইডি তাদের তদন্ত শুরু করে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে নোটিশ পাঠানো হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুক্রবার ভারতীদেবীকে ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করে সিআইডি। এদিকে স্পেশাল সুপারিনটেনডেন্ট ইন্দ্র চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এই টিম জেরা করে চলে গেলে, রাতে ফের সিআইডির পক্ষ থেকে ভারতীদেবীর বর্তমান ঠিকানায় ফের জেরা করার জন্য একটি নোটিশ সাটিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সিআইডির পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানো হলেও জেরাপর্বে মুখোমুখি হতে নারাজ ভারতী ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “যাতে আমি প্রচার করতে না পারি তারজন্যই এইসব করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার প্যান নম্বর, আধার নম্বর জিজ্ঞেস করে আমাকে আটকানো হচ্ছে। আসলে এসবই চক্রান্ত। ওরা যতই নোটিশ দিক, আইনজীবীর সাথেই আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।” গেরুয়া শিবিরের স্পষ্ট অভিযোগ – ঘাটাল কেন্দ্রে ভারতী ঘোষকে প্রার্থী করা হতেই রীতিমত চাপে পরে গিয়েছে তৃণমূল – বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছিল এখানে লড়াই হতে চলেছে হাড্ডাহাড্ডি। কিন্তু সেটা প্রচারের আগেই – প্রচারে নেমে ভারতী ঘোষ যেভাবে এখানে মানুষের মনের কথা তুলে ধরছেন আর যেভাবে তাঁর জনসভায় ও পদযাত্রায় লোক হচ্ছে – তাতে শাসকদল নাকি বুঝে গেছে, এই আসনে হার নিশ্চিত।

আর তাই, রাজনৈতিক লড়াইয়ে না পেরে – এইভাবে সিআইডি ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভারতী ঘোষকে আটকানোর চেষ্টা চলছে বলে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, গতবারের থেকেও বড় মার্জিনে জিতবেন তাঁদের দলীয় প্রার্থী দেব। তাঁদের মতে, ভারতীদেবী যদি কোনো অন্যায় করে না থাকেন, তাহলে সিআইডির মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন কেন? কেউ যদি অপরাধ না করে থাকে তাঁর তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই! কিন্তু, ভারতীদেবীর মনোনয়নের দিনই তাকে সিআইডি দিয়ে জেরা, নির্বাচনের প্রচারের সময় জেরার নামে ঘন্টার পর ঘন্টা বাড়িতে আটকে রাখা – এগুলো কি ‘আটকানোর’ চেষ্টা নয়? ওটা সিআইডির ব্যাপার বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন অবশ্য তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!