এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নির্বাচনের বল গড়ানোর আগেই কি বড় হার হয়ে গেল তৃণমূল নেত্রীর? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

নির্বাচনের বল গড়ানোর আগেই কি বড় হার হয়ে গেল তৃণমূল নেত্রীর? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে, আজ জাতীয় নির্বাচন কমিশন নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ঘোষণা করল সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট। সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বে ফুল বেঞ্চ, ছিলেন অপর দুই নির্বাচন কমিশনারও। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা মত এবারের লোকসভা নির্বাচন হবে মোট ৭ দফায়। সবথেকে আশ্চর্যের বাংলার ৪২ আসনের জন্যও নির্বাচন কমিশন ধার্য করেছে ওই ৭ দফাই। বাংলার পাশাপাশি আর মাত্র দুটি রাজ্য উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে ৭ দফায় লোকসভা নির্বাচন হবে।

উত্তরপ্রদেশ যেহেতু ভারতের সবথেকে বড় রাজ্য এবং সেখানে ৮০ টি লোকসভা আসন আছে, তাই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা সেখানে ৭ দফায় নির্বাচন হওয়ার মধ্যে আশ্চর্যের কিছু নেই। বিহারের ৪০ আসনের জন্য ৭ দফা ঘোষণা করা হয়েছে, কারণ সেখানে রাজনৈতিক হানাহানির ছবি উঠে আসে। কিন্তু, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা রীতিমত অবাক বাংলা নিয়ে এই সিদ্ধান্তের জেরে। কেননা এর আগে কোনোদিন বাংলায় এত দফায় লোকসভা নির্বাচন হয় নি। উল্টোদিকে মাত্র কিছুদিন আগেই বাংলায় যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে, সেখানে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল যে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভালো, বিরোধীরা চক্রান্ত করে অহেতুক জটিলতা সৃষ্টি করতে চাইছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই, সেই পঞ্চায়েত নির্বাচন মাত্র এক দফায় করে রাজ্য। আর বিরোধীদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি উড়িয়ে – বনরক্ষী কর্মী, সিভিক পুলিশ, আবগারি দপ্তরের বাহিনী বা কারারক্ষী দিয়ে নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু, সেই নির্বাচনে উঠে এসেছিল গ্রাম বাংলার রক্তক্ষয়ী ছবি আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল রাজ্যের শাসকদলের দিকে। যদিও শাসকদলের সর্বোচ্চ নেত্রী, জানিয়েছিলেন রাজ্যে নির্বাচন হয়েছে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ভাবে, কোথাও কোথাও হয়ত বিচ্ছিন্ন দু-একটা ঘটনা ঘটেছে, মিডিয়া নাকি সেটাই ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বারবার করে দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে! কিন্তু, জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে মিডিয়ার সেই রিপোর্টকে গ্রহণ করেছেন, আজকের সিদ্ধান্তেই তা প্রমাণিত।

বিরোধীদের দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই মুখে দাবি করুন – রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো, নির্বাচন কমিশন একফোঁটাও বিশ্বাস করে না সে কথা। ফলে, মোট ৭ দফায় নির্বাচন করিয়ে নির্বাচন কমিশন বকলমে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপরেই অনাস্থা নিয়ে এল বলে দাবি বিরোধীদের। অন্যদিকে, এবারের নির্বাচন যে কড়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় হবে, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। ফলে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা যে অশান্তির অভিযোগ এনেছিলেন – এবারে কিন্তু গোড়াতেই সেই অভিযোগ আনার চেষ্টাকে ধ্বংস করে দিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় – বিরোধীরা কিন্তু পঞ্চায়েতে ‘জোর করে’ এক দফা বনাম লোকসভায় ৭ দফার কথা তুলবেন এবং তীব্র আক্রমন বানাবেন মুখ্যমন্ত্রীর আইন-শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে। ফলে, রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়ছে, লোকসভা নির্বাচনের বল গড়ানোর আগেই কি বড় হার হয়ে গেল তৃণমূল নেত্রীর? জবাবটা অবশ্য মিলবে ইভিএম বাক্স খুললে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!