এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > পুরসভাতে নারীশক্তিতে ভর করেই কি বাজিমাতের ভাবনা তৃণমূলের? আসরে হেভিওয়েট মন্ত্রী

পুরসভাতে নারীশক্তিতে ভর করেই কি বাজিমাতের ভাবনা তৃণমূলের? আসরে হেভিওয়েট মন্ত্রী

কবি বলে গেছেন, “এ পৃথিবীতে যা কিছু সৃষ্টি চিরকল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।” আর বিদ্রোহী কবির এই কথাকে মান্যতা দিয়ে ক্ষমতায় আসার পরই বাংলার মহিলাদের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প আনতে দেখা গেছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারকে। কন্যাশ্রী থেকে রুপশ্রী, এমনকি মহিলাদের জন্য 50% রিজার্ভেশনের ব্যবস্থা করা, ইত্যাদি কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজ্যের মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন যে, তারা মহিলাদের পাশেই রয়েছেন।

তবে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে সেইভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটবাক্স উপচে পড়েনি। 42 টি আসনের মধ্যে 22 টি আসন দখল করতে দেখা গেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে লোকসভার 6 মাস পেরোতে না পেরোতেই রাজ্যের সদ্যসমাপ্ত তিনটি উপনির্বাচনের তিনটিতেই জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা নিয়ে কিছুটা উজ্জীবিত তৃণমূল নেতৃত্ব। আর এই পরিস্থিতিতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের একগুচ্ছ পৌরসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির।

সূত্রের খবর, নদীয়া জেলার এগারোটার মধ্যে দশটি পুরসভা ভিত্তিক মহিলা কর্মীদের নিয়ে কৃষ্ণনগর শহরে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর সেখানেই নারী শক্তিকে জাগ্রত করার কথা বলে মহিলাদের বেশি করে গুরুত্ব দেওয়ার কথা শোনা যায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের গলায়। তিনি বলেন, “মহিলারা সব সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে। আমরা যেখানে যা ভোট পেয়েছি, সবচেয়ে বেশি ভোট মহিলাদের। মহিলারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর মতে, “নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে দল আপনাকে দেখে নেবে। এটা মনে রাখলে পৌরসভায় কাকে টিকিট দিচ্ছে, কাকে টিকিট দিচ্ছে না, সেটা আপনার কাছে বড় হবে না। কাজ করলে আপনি যথাযথ মর্যাদা পাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটা করে দেখিয়েছেন। বুথ কর্মীরা না থাকলে আমাদের গুরুত্ব থাকত না। আপনারা রাস্তায় থাকলেই দল শক্তিশালী হয়। দল করলে চাওয়া থাকতেই পারে। কিন্তু চাইবেন কখন! যখন নিজেকে মূল্যায়ন করতে পারবেন। আমি যা নিয়েছি তা কি দিতে পেরেছি!”

তিনি আরও বলেন, “সেটা আপনাকে ভাবতে হবে। যদি মনে হয় নিশ্চিত ভাবে দলকে দিয়েছেন, তবে মনে রাখবেন, দল আপনাকে দেখবে।” এদিকে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে মহিলাদের রাস্তায় নামার আহ্বান জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এনআরসির বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি বলেন, “কেন এনআরসি হবে! কিসের জন্য এনআরসি হবে! ভারতের সংবিধানকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। জিনিসপত্রের এত দাম, এত মন্দা। এর জন্য তিনটে বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি হেরে গিয়েছে।”

তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দেন, “এগুলি আপনাদের জানতে হবে। এগুলো নিয়ে প্রচার করতে হবে। কেন্দ্রের এই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে মহিলাদের মাঠে নামতে হবে। প্রশ্ন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন, না যারা এই সবকিছু করছে, তারা থাকবে! আমার বলতে লজ্জা নেই, যদি কাজ করেন, দেখিয়ে দিতে পারেন আপনি কি! তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্যই গুরুত্ব দেবেন। আমি তো হেরে গিয়েছিলাম। কিন্তু উনি ভেবেছিলেন, আমি কাজ করতে পারি। তাই ফিরিয়ে এনেছিলেন।”

রাজ্যের অন্যতম হেভিওয়েট মন্ত্রী তথা মমতা ব্যানার্জির অন্যতম আস্থার এই নেত্রীর মতে, “হেরে যাওয়া, টিকিট না পাওয়া এগুলো কোনো ফ্যাক্টর নয়। মনে ব্যথা থাকতে পারে, তবে দুঃখ পাবেন না। ঠিক সময়ে সঠিক জিনিস আপনি পাবেন। মনে রাখবেন, দলের নাম তৃণমূল কংগ্রেস, আর নেত্রীর নাম নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এদিন নিজের মহিলা ব্রিগেডকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করে পৌরসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই দলকে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিলেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!