এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ৭ দফায় নির্বাচন ঘোষণা হতেই কি ঘুম উড়েছে তৃণমূলের? প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় ঝরছে স্পষ্ট বিরক্তি!

৭ দফায় নির্বাচন ঘোষণা হতেই কি ঘুম উড়েছে তৃণমূলের? প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় ঝরছে স্পষ্ট বিরক্তি!

রাজ্য-রাজনীতিতে কার্যত নজিরবিহীন – আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ভোটগ্রহণ হতে চলেছে মোট ৭ দফায়। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণাকে স্বাভাবিক নিয়মেই স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলের রাজনীতিবিদরা। কিন্তু, এই ঘোষণায় একদমই খুশি নয় তৃণমূল কংগ্রেস। অন্তত, দলের তরফে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় ফিরহাদ হাকিম যা বললেন, তাতে স্পষ্ট ঝরে পড়ছে বিরক্তি। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ফিরহাদ সাহেব এদিন বলেন, বাংলার মানুষের মনে মমতা। ভোট যত দফাতেই হোক, বাংলায় ফলের তারতম্য হবে না।

এর সঙ্গেই অবশ্য তিনি যোগ করেন, তবে গরমের মধ্যে সাত দফায় ভোট বাংলার মানুষের উপর চাপ। বিশেষত তখন রমজান মাস চলবে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কিন্তু এতে কার সুবিধে করে দেওয়া হল? অর্থাৎ, সবমিলিয়ে তিনি যে নাখুশ তা স্পষ্ট এই প্রতিক্রিয়ায়? কিন্তু, তাঁর প্রতিক্রিয়া সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠে গেছে – প্রশ্ন একটাই, ৭ দফা নির্বাচন দেখে ‘ববিদা কে গুসসা কিউ আতা হ্যায়’? বিরোধীদের বক্তব্য, ফিরহাদ সাহেব যে রমজান মাসের কথা বলেছেন, সেই রমজান মাসে আগেও নির্বাচন হয়েছে। তাছাড়া, রমজান মাস যাঁরা পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন, তাঁরা তখন কিন্তু অন্যান্য ব্যক্তিগত কাজ বন্ধ রাখেন না, তাহলে নির্বাচন দীর্ঘায়িত হলে কিসের অসুবিধা হবে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইসঙ্গে বিরোধীদের আরও প্রশ্ন, ৭ দফায় নির্বাচন হলেও যে কোন নির্দিষ্ট একটি কেন্দ্রের ক্ষেত্রে তা তো একদিনেই হবে। তাহলে, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোটারের ক্ষেত্রে গরম বা রমজানের মাসে নির্বাচনের অসুবিধা এক দফাতেই হোক বা সাত দফাতে – তফাৎ কি আদৌ হবে? তাহলে, এই প্রশ্ন তুলছেন কেন ফিরহাদ সাহেব? সবথেকে বড় কথা নির্বাচন কমিশন একটি স্বশাসিত সংস্থা। সেই সংস্থা, সবদিক বিবেচনা করেই, বিশেষ করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাহলে, বিজেপি-বাম-কংগ্রেস সবাই এই পন্থাকে স্বাগত জানালেও, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরক্তির কারণটি ঠিক কি। যেখানে, বামেদের বা কংগ্রেসের সমর্থকদের একটি বড় অংশও কিন্তু সংখ্যালঘু ভোটার, যাঁরা রমজান পালন করবেন।

তবে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিরহাদ সাহেবের তোলা প্রশ্নটি কিন্তু মারাত্মক! তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কিন্তু এতে কার সুবিধে করে দেওয়া হল? তাহলে কি তিনি আদতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন? জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত উদ্দেশ্যই হল – নিরপেক্ষ নির্বাচন করে জট বেশি সংখ্যক মানুষকে শান্তির সঙ্গে ভোটদানের ব্যবস্থা করে দেওয়া। কিন্তু, ফিরহাদ সাহেবের এই প্রশ্ন তো আদতে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তির উপরেই প্রশ্ন তুলে দিল! তার থেকেও বড় কথা ৭ দফায় না হয়ে ১ দফায় হলে কি বিশেষ কোনো সুবিধা পেত শাসকদল? পেলে কি সেই সুবিধা? এই নিয়ে কিন্তু এখন থেকেই ঝড় তুলতে শুরু করে দিয়েছেন বিরোধীরা – স্বাভাবিকভাবেই প্রচারে তার প্রাবল্য আরও বাড়বে। আর এর সদুত্তর শাসকদলের নেতৃত্ব সঠিকভাবে না দিলে তার প্রবল প্রভাব কিন্তু ইভিএমেও পড়তে বাধ্য। সবমিলিয়ে বাংলায় লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার সাথে সাথেই তীব্রতম উচ্চতায় পৌঁছে দিল নির্বাচন কমিশন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!