এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হিসেব মিলছে না রবীন্দ্রনাথ ঘোষের, বড়সড় ‘বিপর্যয়ের’ মানসিক প্রস্তুতি শুরু কুচবিহারের তৃণমূল নেতাদের?জোর জল্পনা

হিসেব মিলছে না রবীন্দ্রনাথ ঘোষের, বড়সড় ‘বিপর্যয়ের’ মানসিক প্রস্তুতি শুরু কুচবিহারের তৃণমূল নেতাদের?জোর জল্পনা

লোকসভা নির্বাচনের আগে, রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী তথা উত্তরবঙ্গ তৃণমূলের ভোট-ম্যানেজার রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বিদায়ী সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে প্রার্থী না করা হলে তিনি কুচবিহার আসনে অন্তত ৫ লক্ষ ভোটে জিতিয়ে দেখিয়ে দেবেন। তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার আগে পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও পার্থপ্রতিম রায়ের বাকযুদ্ধ রাজ্য-রাজনীতির অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষপর্যন্ত রবীন্দ্রনাথবাবুর উপর আস্থা রেখে লোকসভা ভোটে টিকিট দেননি পার্থপ্রতিম রায়কে।

নির্বাচনের আগে পর্যন্ত, প্রার্থী ফরোয়ার্ড ব্লক থেকে আসা পরেশ অধিকারী হলেও, প্রচার থেকে শুরু করে নির্বাচনের সব কাজই নিজের হাতে সামলেছেন রবীন্দ্রনাথবাবু। বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে তিনি পাত্তাই দিতে চান নি, তাঁর অনুগামীরা জানিয়েছিলেন নিশীথবাবুকে প্রার্থী হিসাবে মেনে নিতে পারেননি স্বয়ং গেরুয়া শিবির, সুতরাং তাঁকে নিয়ে ভাববার কোনো বিষয়ই নাকি নেই। তৃণমূল কুচবিহারে ভালোই ফলাফল করবে। কিন্তু ভোটগ্রহণের ঠিক আগে এক বেসরকারি নিউজ চ্যানেলের টক-শোতে রবীন্দ্রনাথবাবু যেভাবে মেজাজ হারিয়ে নিশীথ প্রামাণিককে মারমূখী হয়ে ওঠেন, তখন থেকেই প্রমাদ গুনছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই ছবিটা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে, নির্বাচনের দিন সকালে যখন রবীন্দ্রনাথবাবু ক্রমশ মেজাজ হারাতে থাকেন। কেননা বিগত নির্বাচনগুলোতে কুচবিহারবাসী দেখতে অভ্যস্ত ছিল, সকাল বেলাতেই মোটামুটি কত মার্জিন তৃণমূল পাচ্ছে তা বলে দিতেন রবীন্দ্রনাথবাবু। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করার পর, কার্যত আর নির্বাচনী কার্যালয়ে বসেই তিনি হিসেবে নিতেন তাঁর প্রত্যাশিত মার্জিন আনার জন্য তাঁর দলের ছেলেরা ঠিকঠাক জায়গায় ঠিকঠাক কাজটা করছেন কিনা! কিন্তু, এবারে বেলা বাড়তেই সেই রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মুখে বিভিন্ন বুথে উপনির্বাচনের দাবি!

কিন্তু এর পরের অংশেই বড়সড় চমক! ভোট মিটতেই রবীন্দ্রনাথবাবু বিভিন্ন ব্লক-সভাপতিদের সঙ্গে বসেছিলেন, কে কত মার্জিন দিতে চলেছেন তার হিসাব নিতে। আর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সেই হিসেব বোধহয় মিলছে না রবীন্দ্রানথাবুর। সিতাই ছাড়া কোথাও থেকে লিডের খবর তেমনভাবে পাচ্ছেন না তিনি। ফলে ক্রুব্ধ রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অন্তত দশজন ব্লক সভাপতিকে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে তাঁদের ‘বিদায় নিতে’ বলেছেন! রবীন্দ্রনাথবাবু নিজে এই বৈঠকের কথা স্বীকার করে নিলেও, সাদা কাগজে সই করানোর কথা স্বীকার করেননি।

কিন্তু, যাঁদের এই সাদা কাগজে সইটা করে পদত্যাগ করে আসতে হয়েছে, তাঁরাই ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়ে দিচ্ছেন পুরো ঘটনার কথা। যদিও এই নিয়ে তাঁরা সরাসরি মুখ খোলেন নি। আর তাই রাজনৈতিকমহলের দাবি যে যদি এই ঘটনা সত্যি হয় তবে কি সত্যিই অঘটন ঘটতে চলেছে আর তার জেরেই এমন ঘটনা ঘটছে।

সবে ভোটগ্রহণ হয়েছে, নির্বাচনের ফলাফল বেরোতে এখনও অনেক দেরী, এই কুচবিহার জুড়ে পঞ্চায়েতে শুধুই তৃণমূলের দাপট। তা সত্বেও, রবীন্দ্রনাথবাবু দলীয় নেতাদের পদত্যাগপত্র জমা নিচ্ছেন এখন থেকেই! তাহলে কোথাও গিয়ে মুকুল রায়ের দাবিই সত্যি? এই ঘটনা যদি সত্যি হয়, তাহলে এখন থেকেই কিন্তু বড়সড় বিপর্যয়ের মানসিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে শাসকদলের অন্দরমহলে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নি তৃণমূল। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দাবি বিজেপি হারবে জেনেই এই সব রটাচ্ছে। এর কোনো ভিত্তিই নেই। তবুও প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গের ভোট শুরুর ঠিক আগে, এই খবর প্রকাশ্যে চলে আসায় শাসকদলের উপর চাপ আরও বাড়ল বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!