এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > নদীয়ার দুই লোকসভা আসন নিয়ে চিন্তায় শাসকদল? সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী স্বয়ং দলনেত্রী?

নদীয়ার দুই লোকসভা আসন নিয়ে চিন্তায় শাসকদল? সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী স্বয়ং দলনেত্রী?

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে একদিকে যখন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ডাক দিয়েছে বাংলা থেকে ৪২ এ ৪২ করতে হবে, তখন পাল্টা গেরুয়া শিবির হুঙ্কার ছেড়েছে এবার নাকি বাংলা থেকে তারা অন্তত ২২-২৩ টি আসন নিজেদের দখলে নিয়ে আসবে। কি হবে শেষ ফলাফল, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৩ শে মের ইভিএম খোলা পর্যন্ত। কিন্তু, এই হুঙ্কার ও পাল্টা হুঙ্কারে বেশ জমজমাট বাংলার ভোট যুদ্ধ। যে যুদ্ধে বেশ কিছুটা যেন পিছিয়ে পড়েছে রাজ্যের অন্য দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস।

আর এই আবহে, যে কয়টি আসন নিজেদের অনুকূলে সন্তোষজনক ফলাফল হবে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির – তার মধ্যে অন্যতম নদীয়ার দুই লোকসভা কেন্দ্র কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট। কৃষ্ণনগরে এ বছর গত দুবারের সাংসদ তাপস পালকে টিকিট না দিয়ে ঘাসফুল শিবির ভরসা রেখেছে মহুয়া মৈত্রের উপর। তাপস পালের কিছু বিতর্কিত কথাবার্তা ও পরবর্তীকালে চিটফান্ডকাণ্ডে তাঁর জেলে যাওয়াই – এবার তাঁর টিকিট পাওয়ার বড় অন্তরায় হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী বদল করেছে রানাঘাট কেন্দ্রেও। গতবারের সাংসদ তাপস মন্ডলের জায়গায় ‘সহানুভূতির ভোটের’ অঙ্কে প্রার্থী করা হয়েছে নিহত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী রূপালী বিশ্বাসকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু, প্রার্থী বদল করেও কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই দুই আসনে হারার আতঙ্কে ভুগছে শাসকদল? গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই এই জেলায় তেড়েফুঁড়ে শক্তি প্রদর্শন করছে গেরুয়া শিবির। দলীয় পর্যবেক্ষক ও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বারবার ছুটে এসেও সমস্যার সেইভাবে কোনো সমাধান করতে পারেননি। মরিয়া দলনেত্রী দায়িত্ব দিয়েছিলেন বীরভূমের বিতর্কিত নেতা অনুব্রত মন্ডলকে। কিন্তু, তিনিও বোধহয় খুব একটা বাগে আনতে পারেননি নদীয়া জেলায় গেরুয়া উত্থান। আর যে কারণে, এবার নদীয়া জেলায় ঘাসফুলের আধিপত্য বজায় রাখতে আসরে নামলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল নবান্নে নদীয়া জেলার বিধায়ক, পুরপ্রধান ও কর্মীদের নিয়ে নবান্নে বৈঠক করলেন তিনি।

সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, চাকদহের দীপক বসু ও রত্না দে গোষ্ঠীর বিবাদ অথবা শান্তিপুরের অজয় দে ও অরিন্দম ভট্টাচার্য গোষ্ঠীর বিবাদ সর্বজনবিদিত। আর তাই, নদীয়ার দুটি আসন নিজেদের দখলে রাখতে সবাইকে বিবাদ ভুলে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি নাকি কড়া ভাষায় জানিয়েছেন, গোষ্ঠীবাজি কিছুতেই চলবে না, বিবাদ ভুলে এক হয়ে কাজ কাজ করতে হবে কর্মীদের। সূত্রের খবর, নদীয়ার এই দুই আসনের নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গৌরীশঙ্কর দত্ত, উজ্জ্বল বিশ্বাস, শঙ্কর সিংহ, অসীম সাহা, দীপক বসু ও প্রাক্তন সাংসদ তাপস মণ্ডলকে।

তবে এই বৈঠকে নদীয়া জেলার নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকলেও – আশ্চর্যজনকভাবে বৈঠকে ছিলেন না রানাঘাট ও কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের দুই প্রার্থীই। আর তাই সুযোগ পেতেই ওই বৈঠকে কৃষ্ণনগরের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের কিছু রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছেন জেলার নেতারা বলেও জানা গেছে। অন্যদিকে, নদীয়ার এই দুই আসনের জন্য মোট ১৮ টি জনসভা করতে পারে শাসকদল – যারমধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় করবেন ছটি সভা, ফিরহাদ হাকিম করবেন আটটি, চারটি সভা করবেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী বলে জানা গেছে। সবমিলিয়ে, নদীয়া জেলা নিয়ে চিন্তিত তৃণমূল নেত্রীর এইসব পদক্ষেপের পরেও এই দুই আসন তৃণমূলের দখলে থাকে কিনা তা জানার জন্য আগামী ২৩ শে মে পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!