এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > আইএসএফ-কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব প্রকট, জোটের ভবিষ্যত নিয়ে তীব্র সংশয়

আইএসএফ-কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব প্রকট, জোটের ভবিষ্যত নিয়ে তীব্র সংশয়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে বাম,কংগ্রেস,আইএসএফ দলের জোট একেবারে মুখ থুবরে পড়েছে। একটিমাত্র আসনে জয়লাভ করতে পেরেছেন জোট সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী। নির্বাচনের এই শোচনীয় পরাজয়ের জন্য আইএসএফকে দোষারোপ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। গতকাল নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে চলা কংগ্রেসের পর্যবেক্ষণমূলক বৈঠকে আইএসএফকে তীব্র বিষেদাগার করলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি স্পষ্ট জানালেন যে, বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হয়েছিল। আইএসএফ এর সঙ্গে কংগ্রেসের কোন জোট হয়নি। ফলে তিন দলের জোট কতদিন থাকবে? তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, বাম,কংগ্রেস জোটে আব্বাস সিদ্দিকী দলকে নিতে প্রথম থেকেই যথেষ্ট আপত্তি ছিল কংগ্রেসের। আসন সমঝোতা নিয়ে দুই দলের বিরোধ দেখা দিয়েছিল। ভোটের পর দুই দলের বিরোধ আবার প্রকট। গতকাল দলের বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন যে, বামফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হয়েছিল, আইএসএফ এর সঙ্গে কোনো জোট হয়নি কংগ্রেসের। বামেদের পক্ষ থেকে কংগ্রেসকে ৯২ টি আসন দেয়া হয়েছিল। আইএসএফ মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিল। এমনকি দলের হয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল আইএসএফকে। তিনি প্রশ্ন করেছেন, আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে যদি জোট হতো, তবে কি সেই দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিত?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ভোটের ফলাফল বিষয়ে অধীর চৌধুরী জানালেন, নির্বাচনের মানুষ বিশ্বাস করেছেন যে, নরেন্দ্র মোদিকে একমাত্র ঠেকাতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কংগ্রেস, সিপিএমকে না দিয়ে একমাত্র তৃণমূলকেই ভোট দিয়ে বিজেপিকে পরাস্ত করেছেন রাজ্যের মানুষ। সংখ্যালঘু মানুষেরা মনে করেছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়েই বিজেপিকে আটকানো যাবে। প্রসঙ্গত, আইএসএফ নিয়ে যেভাবে বিষেদাগার করেছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এতে আগামী দিনে তিন দলের এই জোটের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

তবে, সিপিএমের পক্ষ থেকে এখনই জোট ভেঙ্গে দেবার বার্তা দেয়া হয়নি, বরং জোট বজায় রাখার পক্ষেই সওয়াল করেছেন একাধিক নেতা। ভোটের ফলাফল নিয়ে চলা বাম নেতৃত্তের বৈঠকে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানালেন যে, শুধুমাত্র আদর্শ মেনে প্রার্থী দিলেই হবে না, মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। ভোটের ফলাফলের পর শুধুমাত্র সংযুক্ত মোর্চা নিয়ে প্রশ্ন তুললে হবে না। তাঁদের কি ভূমিকা ছিল? সেটাও দেখতে হবে। আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন আছে। তিনি জানান, বামের ভোট রামে চলে গেছে বলে, বিজেপির দিকে নজর দেওয়ার কারণেই তৃণমূল গোল করে বেরিয়ে গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!