এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ‘ঈশ্বর আমাদের ২০২১ সালটা মুক্তির সাল দেবে। আনন্দের স্বাদ দেবে।’ তৃণমূলে সরকারের মুক্তি চাইলেন শুভেন্দু?

‘ঈশ্বর আমাদের ২০২১ সালটা মুক্তির সাল দেবে। আনন্দের স্বাদ দেবে।’ তৃণমূলে সরকারের মুক্তি চাইলেন শুভেন্দু?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন- রাজ্যের বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি এবার পরিবর্তনের ডাক দিলেন স্বয়ং বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূল শিবির নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে একাধিক বড় নেতা তৃণমূলে বিদ্রোহ শুরু করায়। এরমধ্যে শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ একটি নাম। বেশ কিছুদিন যাবৎ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল শিবিরের মুখোমুখি বিরোধিতা শুরু হয়েছে। অবশ্য শুভেন্দু অধিকারীকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে দলে রাখার কসুর করেনি তৃণমূল শিবির। তবে তাতে বিশেষ চিঁড়ে গলেনি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

আর এবার শুভেন্দু অধিকারী দলের বিরুদ্ধে আরো একধাপ সুর চড়ালেন তাঁর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা কনিষ্ক পান্ডার অপসারণে। শুভেন্দু অধিকারী তাঁর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা বলেছিলেন গত 6 ই ডিসেম্বর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সাংবাদিক সম্মেলন আর হয়ে ওঠেনি। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী এখনো পর্যন্ত দলীয় বিধায়ক এবং প্রাথমিক সদস্য হিসেবে রয়েছেন দলে। পাশাপাশি জল্পনা উঠেছিল গেরুয়া শিবিরে শুভেন্দু অধিকারীর যোগদান নিয়ে। তা নিয়েও এখনো বিশেষ কোনো হেলদোল দেখা যাচ্ছেনা। মোটকথা বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে তৃণমূল এবং শুভেন্দু অধিকারী একে অপরের বিরুদ্ধে বিশেষ কিছু না বলে চুপ ছিলেন।

কিন্তু কাঁথির শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা কনিষ্ক পান্ডার অপসারণে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিছুদিন যাবত তৃণমূল এবং শুভেন্দু অধিকারী মধ্যে তরজা বন্ধ থাকায় অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন হয়তো ভেতরে ভেতরে সমঝোতা চলছে। হয়তো একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শুভেন্দুকে আটকাতে সফল হবে। কিন্তু রবিবারের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিলেন, তিনি কোনরকম সমঝোতায় যেতে রাজি নন। বেশ কিছুদিন চুপ থেকে তিনি ধৈর্যের পরীক্ষা দিলেও ঘনিষ্ঠ নেতার বহিষ্কার যে তিনি মোটেই মেনে নিতে পারেননি তা ভরা সভায় কারোর নাম না নিয়েই বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই সূত্রেই এবার শুভেন্দু নিজেই তৃণমূলের আগামী ভবিষ্যৎ পরিষ্কার করে দিলেন এবং বললেন 2021 এই হচ্ছে এই পরিবর্তন। প্রসঙ্গত, কনিষ্ক পান্ডার বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল শিবিরে যে শুভেন্দু অধিকারীর পাশে থাকার দরুণ ‘দাদার অনুগামী’ নাম নিয়ে তিনি ব্যক্তি প্রচার চালাচ্ছেন, দলে থাকলেও তিনি দলের কোন পতাকা না লাগিয়ে দলনেত্রীর ছবি না রেখে রাজনৈতিক সভা ও মিছিল, কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন এবং আয়োজনও করছেন শুধুমাত্র একজন নেতার জন্য। এবং এই একজন নেতা যে শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারী সে কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। রবিবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী।

আর এই সভাতেই নাম না করে একের পর এক মোক্ষম আক্রমন করতে থাকেন শুভেন্দু। এবং তাঁর নিশানায় যে রাজ্যের শাসক দল সে কথা বুঝতে কারোরই অসুবিধা হয়নি। এদিন শুভেন্দু স্পষ্ট জানান, মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা তিনি করেননি। তাই মানুষের ওপর যখনই কোন রকম অন্যায় হবে, অত্যাচার হবে, মানুষের কষ্ট হবে, উন্নয়ন হবেনা তখনই শুভেন্দু অধিকারী মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী বনাম তৃণমূল লড়াই এখনো দলীয় ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ। তবে এখনো পর্যন্ত হিসেব-নিকেশের খাতা বন্ধ করেনি বিজেপি। প্রথম থেকেই বিজেপি শুভেন্দুকে নিজেদের শিবিরে নিয়ে আসতে তৎপর।

কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী যেহেতু এখনও তৃণমূলের বিধায়ক পদে রয়েছেন এবং সদস্য পদেও আছেন তাই গেরুয়া শিবির এ ব্যাপারে কোনো রকম মন্তব্য করতে নারাজ। তবে ওয়াকিবহাল মহলের অনেকেই মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে এদিন 2021 এ পরিবর্তনের ডাক দিলেন তাতে বোঝাই যাচ্ছে তিনি রাজ্য থেকে তৃণমূলের পরিবর্তন চাইছেন। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দুর মুখে এই কথা শুনে যারপরনাই খুশি হবে গেরুয়া শিবির। আপাতত রাজনৈতিক মহল অপেক্ষারত, শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জানার জন্য।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!