এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ইসলামপুর কান্ডে বড় পদক্ষেপ সিআইডির, জানুন বিস্তারিত

ইসলামপুর কান্ডে বড় পদক্ষেপ সিআইডির, জানুন বিস্তারিত


দাড়িভিট কান্ডে নিহত দুই ছাত্র ও জখম এক ছাত্রের পরিবারকে ইসলামপুর থানায় প্রয়োজনীয় কিছু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল সিআইডি। একই সঙ্গে ডেকে পাঠানো হয়েছে জখম হওয়া এক প্রাক্তন ছাত্রকে। এদিকে এই হত্যাকান্ডের জন্যে এখনে সিবিআই তদন্তের দাবীতে অটল রয়েছেন মৃতের পরিবার সহ দাড়িভিটের স্থানীয় বাসিন্দারা। এমতাবস্থায় রাজ্য গোয়ান্দাদের ডাকে তাঁরা সাড়া দেবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি রয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।

২১ সেপ্টেম্বর ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলে পুলিশের গুলিতে আন্দোলনরত ছাত্র মৃত্যুর পাশাপাশি জখম হয়েছিল বেশ কিছু স্কুল পড়ুয়ারা। এই ঘটনার পরই উত্তর দিনাজপুর সহ গোটা রাজ্যই রাজ্যসরকারের প্রশাসনিক দায়িত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তোলে। যেহেতু রাজ্যসরকারের পুলিশের গুলিতে ছাত্রদের মৃত্যু হয়,তাই শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা সহজ হয়। আর এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে বিজেপি প্রতিবাদে এগিয়ে আসে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনায় সিআইডি তদন্তের আশ্বাস দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করে মৃতের পরিবার সহ দাড়িভিটের স্থানীয়রা। এবং এ ব্যাপারে তাঁদের পাশে দেখতে পাওয়া যায় বঙ্গবিজেপিকে। দাবী জানানো হয় সিবিআই তদন্তের। সে তদন্তের দাবীতে নিজেদের অবস্থান এখনো অনড় রেখেছেন তাঁরা।

যদিও বর্তমানে সিবিআয়ের দুই কর্তার অন্তর্কলহের কারণে এই ইস্যুটির তদন্তে এখনো নামতে পারেননি তাঁরা,তবুও হাল ছাড়ার পক্ষপাতী নন মৃতের পরিবাররা। এরকম অবস্থায় রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের ডাকে সাড়া দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলেও কার্যত কেউই এ ব্যাপারে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করছেন না।

এ প্রসঙ্গে নিহত রাজেশ সরকারের বাবা নীলকমল সরকার সিআইডির উপর নিজের অনাস্থার কথা জানালেন। তাঁর যুক্তি,তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা জোর গলায় বলেছে রাজ্য পুলিশ গুলি চালায় নি। তবে যে বা যারা গুলি চালিয়েছিল তাদের এখনো কেন ধরলে পারলো না সিআইডিরা?

সিআইডি কিছুই করবে না,এমনটাই বিশ্বাস তাঁর। এই ঘটনার জন্য সিবিআই তদন্তের দাবী জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানালেন তিনি। আর সিআইডির ডাকে সাড়া দেবেন কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানালেন না তিনি। একই সুরে কথা বলতে দেখা গেল মৃত তাপস বর্মনের বাবা বাদল বর্মনকেও। রাজেশের দূর সম্পর্কেও কাকাও রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের উপর নিজের অনাস্থার কথা জানালেন। ঘটনার দিন পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে বেশ অনেকদিন ভর্তি থাকা দশম শ্রেণির ছাত্র বিপ্লব সরকারের বাবা গোবিন্দ সরকারও জানালেন, ঘটনার জন্য সিবিআই তদন্তের দাবী জানানো হয়েছে।

বিপ্লবের মা সরস্বতী সরকার জানান,বিপ্লব এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। অপরাশেন এখনো বাকি রয়েছে পায়ে। সিবিআই তদন্তের দাবী করা হলেও সিআইডি তদন্তে নেমেছে। এ ব্যাপারটাকে সঠিক বলে মেনে নিলেন না তিনি। কারণ তাঁর যুক্তি ওদিন রাজ্যপুলিশই গুলি চালিয়েছিল।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজ্যসরকার নিজেদের ভাবমূর্তি বাঁচাতে যতোই নিজেদের ঘাড় থেকে দোষের বোঝা নামাতে চান না কেন,এর নেপথ্যে তাঁদেরই মদত রয়েছে বলেই জানালেন তিনি। নয়তো এতোদিনে শাসকদল সামনে আনতে পারল না কেন দোষীদের? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন তিনি। মৃত এবং জখমদের পরিবার স্পষ্ট করে না বললেও তাঁদের মতামতে সাফ বুঝিয়ে দিলেন সিআইডির ডাকে সাড়া দিতে মোটেও ইচ্ছুক নন তাঁরা। এখন এর পরবর্তী ধাপে সিআইডির পদক্ষেপ কী হবে সেটাই দেখার!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!