ইসলামপুরে গুলিকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানালো বিজেপি উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য September 23, 2018 ছাত্র মৃত্যুতে থমথমে ইসলাপুর। কিন্তু এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করেই এখন একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে রাজনৈতিক ময়দানকে গরম চরে তুলছে বঙ্গের শাসক বিরোধী দুই শিবিরই। গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে ইসলামপুরে এই গুলিকাণ্ডের প্রতিবাদে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর, ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে এই বনধের দিনে বিজেপির অন্য এক কর্মসূচী ছিল। রাজ্যের বিগত পঞ্চায়েতে রাজ্যজুড়ে দলীয় নেতা কর্মীদের ওপর শাসকদলের হিংসার প্রতিবাদে ওইদিন নবান্ন অভিযানের পরিকল্পনা থাকলেও তা বাতিল করে সেই ছাত্রমৃত্যুতে শাসকদলকে বনধের রাস্তায় হাটল তাঁরা। এদিকে কোলকাতার অফিস থেকে যখন এইব্যাপারে বনধের ডাক দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা ঠিক তখনই এদিন বিদেশে সফররত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল তুললেন বিজেপি এবং আরএসএসের দিকেই। আর রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান এহেন মন্তব্য করায় সেই মন্তব্যের স্বপক্ষে প্রমান দেওয়ার দাবি জানাল বিজেপি। হয় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না হয় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে তাঁরা। এদিন এই প্রসঙ্গে মুখ খুলে আরএসএস নেতা জিষ্ণু বসু বলেন, “সঙ্ঘের মতো একটি সামাজিক সংগঠন সম্পর্কে কুৎসা চালানো হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামা হবে।” অন্যদিকে এদিন বিদেশ থেকে এই ঘটনায় পুলিশ গুলি চালায়নি বলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলে তার চরম সমালোচনা করে দক্ষিন দিনাজপুরের এক সভা থেকে সেই মুখ্যমন্ত্রীকেই কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গোটা ঘটনায় দায় ঝেড়ে ফেলতে মিথ্যা কথা বলছেন। তদন্ত শুরু না হওয়ার আগেই উনি কীভাবে বলে দিলেন, ওটা পুলিসের গুলি নয়। ঘটনার প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।” তবে শুধু মুখে নয়, এবার এই গুলিকাণ্ডের রেশকে ধরে রাজ্যে তৃনমূল বিরোধী জনমত তৈরিতে সচেষ্ট হচ্ছে বিজেপি। দলীয় সূত্রের খবর, আজ সেই ইসলামপুর যাচ্ছেন প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ বিজেপির একাধিক শীর্ষনেতা। পাশাপাশি এই ছাত্র মৃত্যুতে আগামী 26 সেপ্টেম্বর সারা বাংলা বনধের ব্যাপারে প্রচারও চালাচ্ছে তাঁরা। তবে বিজেপির ডাকা এই বনধকে সমর্থন করছে না রাজ্যের আরও দুই বিরোধী দল কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট। এদিন এই বনধের বিরোধীতৃ করে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, “ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বিজেপি।” অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “এই ঘটনায় আমরা পথে আছি কিন্তু বনধে নেই।” এদিকে এদিনও এই ইসলামপুরের ছাত্র মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন জেলায় পথে নামতে দেখা যায় বিজেপির যুব মোর্চা এবং আরএসএসের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদকে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে বিজেপির অভিযোগ, উত্তর দিনাজপুরের এই অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে রাজ্য তোলপাড় হলেও মুখ্যমন্ত্রী বিনিয়োগ টানতে ইতালিতে পড়ে আছেন। পাল্টা বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃনমূলের দাবি, ইউরোপ থেকেই গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে রাজ্যে যখন মুখ্যমন্ত্রী নেই, যখন উত্তরবঙ্গের ইসলামপুরে ছাত্র মৃত্যুতে ভয়াবহ পরিস্থিতি ঠিক তখনই আজ সেই উত্তরবঙ্গে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, সিকিমের পাকিয়াং বিমানবন্দর উদ্বোধনের জন্যই তার এই সফর। জানা গেছে, বঙ্গ বিজেপির তরফে বাগডোগরা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার উদ্যোগ নিচ্ছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। আর সেইখানেই রাজ্যের সমস্ত বিষয় প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন তাঁরা। সব মিলিয়ে ইসলামপুরের ছাত্র মৃত্যু নিয়ে রাজ্যের শাসক বনাম বিরোধীর রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। আপনার মতামত জানান -