এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ইসলামপুর কাণ্ডে স্কুল খোলা নিয়ে বড় পদক্ষেপ, সিবিআই দাবিতে এখনো অনড় নিহতদের পরিবার

ইসলামপুর কাণ্ডে স্কুল খোলা নিয়ে বড় পদক্ষেপ, সিবিআই দাবিতে এখনো অনড় নিহতদের পরিবার

গত ২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষকের দাবিতে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনে নিহত হন দুই ছাত্র তাপস বর্মন এবং রাজেশ সরকার। আর এরপরই অভিযোগ ওঠে যে, এই দুই ছাত্রের মৃত্যুর পেছনে দায়ী পুলিশ প্রশাসনই।

এদিকে পুলিশ গুলি চালায়নি বলে প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে রাজ্য সরকার। নিজেদের মতো করেই তারা এই ঘটনার তদন্ত চালালেও সেখানে খুশি না হয়ে মৃত দুই ছাত্রের পরিবার প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি তুলছে। আর যা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র টানাপোড়েন। আর দাড়িভিটের এই গণ্ডগোলের পর থেকেই বন্ধ সেই স্কুলও। সামনেই মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা। বারে বারে স্কুল খুলতে এসে গ্রামবাসীদের বাধায় সেখান থেকে ঘুরে গেছেন শিক্ষকেরা।

কিন্তু পুজোর ছুটি শেষ হলেই যাতে এই স্কুল খোলা যায় সেই ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু সেখানেও এবার ঘনীভূত হচ্ছে আশঙ্কার মেঘ। সূত্রের খবর, বাজার থেকে দারিভিট স্কুলে ঢোকার সমস্ত রাস্তায় ব্যানার লাগিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে কয়েকটি প্রশ্ন। যেখানে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কার নির্দেশে সেই ২০ সেপ্টেম্বর এই দাড়িভিটে গুলি চলেছিল সেই দাবিও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি নিরীহ গ্রামবাসীদের মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে প্রশাসনের কাছে।

এদিন এ প্রসঙ্গে এই গণ্ডগোলের ঘটনায় নিহত রাজেশ সরকারের বাবা নীলকমল সরকার বলেন, “আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। আমরাও চাইছি পুজোর ছুটি শেষ হলেই যাতে এই স্কুলটি খুলে যায়। তবে তার আগে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা এলাকায় এসে জবাব দিন যে সেদিন কার নির্দেশে গুলি চলেছিল?”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর এহেন পরিস্থিতিতে পুজোর পরে আদৌ স্কুল খোলা যাবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে প্রশাসনও। তবে ছুটির পরেই এই স্কুল খোলার ব্যাপারে আশাবাদী উত্তর দিনাজপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক সুজিত মাইতি। অন্যদিকে স্কুল খোলার ব্যাপারে জানতে চেয়ে ফোন করলেও কোন ফোন ধরেননি এই দারিভিট স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ কুন্ডু এবং ইসলামপুরের মহকুমা শাসক মনীষ মিশ্র। সব মিলিয়ে মৃত ছাত্র রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মনের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের অনড় গ্রামবাসীরা পুজোর পরে এই দাড়িভিট স্কুল খোলার ব্যাপারে আদৌ প্রশাসনকে সহযোগিতা করে কিনা সে দিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!