প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলকে টেক্কা দিয়ে ইশতেহারেও চমক দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্য বিজেপির ইশতেহার রীতিমত আলোড়ন ফেলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। খাদ্য থেকে শুরু করে কৃষক, শ্রমিক থেকে শুরু করে মহিলা, সকল বিষয়ে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে বিজেপি তাদের ইশতেহারে। স্বাভাবিক ভাবেই সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য বিজেপির পক্ষ থেকেই চমকপ্রদ ইশতেহার প্রকাশ করা হলেও, সত্যিই কি তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব!

কেননা এই ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি যদি বিজেপিকে বাস্তবায়িত করতে হয়, তাহলে প্রচুর অর্থের দরকার। সেদিক থেকে কোথা থেকে আসবে সেই অর্থ! এমনিতেই রাজ্যে প্রচুর দেনা বলে দাবি করা হয়। সেদিক থেকে বিজেপির পক্ষ থেকে ভোটের আগে মানুষের সমর্থন পাওয়ার জন্য এই ধরনের গিমিক দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করছেন একাংশ।

যদিও বা ইশতেহার প্রকাশের পর এই অর্থের সংস্থান নিয়ে সমস্ত আশঙ্কাকে দূরীভূত করে নিজের মতামত জানিয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যেখানে নিজেকে “ব্যবসায়ী” বলে টাকার কথা আগেই ভাবা হয়েছে বলে সকলকে নিশ্চিত করার চেষ্টা করলেন তিনি।

সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যায় বিধাননগরের ইজেডসিসিতে “সংকল্প পত্র” নাম দিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। যে ইস্তেহার প্রকাশ করেন দলের সর্বভারতীয় নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেই ইশতেহার প্রকাশের পরই অর্থের সংস্থান নিয়ে যাতে কেউ কোনো প্রশ্ন না তোলেন, তার ব্যাপারে সকলকে আশ্বস্ত করেন এই বিজেপি শীর্ষ নেতা। অমিত শাহ বলেন, “আমি বেনিয়া। তাই ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি রূপায়নের জন্য টাকার কথা আগেই ভাবা হয়েছে। তাই সোনার বাংলা গঠন করতে কোনো সমস্যা হবে না।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির ইশতেহার নিয়ে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করা হয়েছে। গোটা ঘটনাকে কার্যত চমক বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বিজেপি যতই চমকপ্রদ ইশতেহার প্রকাশ করুক না কেন, তা বাস্তবে রূপায়িত করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। যেখানে অর্থ একটি বড় কাঁটা বলে দাবি করছে একাংশ।

আর এই পরিস্থিতিতে সমালোচকদের সেই বক্তব্যকে কার্যত ভিত্তিহীন বলে প্রমাণ করতে নিজেকে ব্যবসায়ী বলে অর্থের সংস্থান নিয়ে আগেই ভাবা হয়েছে। তাই সোনার বাংলা গঠন করতে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ। তবে ভোটের মরসুমে অমিত শাহ এই কথা বলেই জনতার মন পাওয়ার চেষ্টা করলেন! নাকি বাস্তবেই এই ইশতেহার প্রকাশের আগেই অর্থের সংস্থান তিনি ভেবে রেখেছেন! তা সময়ানুযায়ী প্রমাণিত হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।