এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > হেভিওয়েট নেতার বাড়িতে আয়কর দপ্তরের তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা!

হেভিওয়েট নেতার বাড়িতে আয়কর দপ্তরের তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা!


দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা মোটেই ভালো নয়। অর্থনীতির আকাশে মন্দার কালোমেঘ। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে দামের কারণে। বাজার হয়ে উঠেছে অগ্নিমূল্য। এখনো পর্যন্ত জিডিপির হার পাঁচ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। ঠিক এই সময়ে যদি জানা যায় বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার হয়েছে কোন এক নেতার বাড়ি থেকে তাহলে কী দাঁড়াবে? অর্থনৈতিক মন্দার সুযোগে একশ্রেণীর নেতা, ব্যবসায়ীরা তাদের ঘরে অর্থ মজুত রাখছেন।

পরবর্তীকালে যা কালোটাকায় রূপান্তরিত হবে বলেই অভিমত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এবার আয়কর দপ্তরের তল্লাশিতে কর্ণাটকের একাধিক জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হলো। এখনো পর্যন্ত 4.45 কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। আয়কর দপ্তরের দাবি, আরো বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হবে। আর এই সমস্ত জায়গা গুলির সঙ্গে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর এবং তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের যোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়কর দপ্তর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এখনো পর্যন্ত প্রায় ত্রিশটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। বেঙ্গালুরু এবং টুমকুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করা হয়েছে। আয়কর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে এবং সেখানে থেকেই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে। মনে করা হচ্ছে আয়কর ফাঁকি দেবার কারণে এই বিপুল পরিমাণ টাকা জমেছে। এই কংগ্রেস নেতার নাম হল সাংসদ জে এল জালাপ্পা।

অন্যদিকে আয়কর আধিকারিকরা জি পরমেশ্বরের ভাইয়ের ছেলে আনন্দের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন। সাথে সিদ্ধার্থ মেডিকেল কলেজেও আয়কর দপ্তরের পক্ষ থেকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এই মেডিকেল কলেজের ট্রাস্টি বোর্ডে আছেন কর্ণাটকের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর। জালাপ্পার ছেলের কোম্পানিতেও তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর দপ্তর। তবে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জানিয়েছেন, ‘আমি এই তল্লাশির বিষয়ে জানতাম না। তাঁদের তল্লাশি চালাতে দিন। আমার কোন আপত্তি নেই। যদি আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ত্রুটি ধরা পড়ে, তাহলে আমরা তা শুধরে নেব।’

এই ঘটনায় কর্ণাটকের বিরোধীদলের দাবি, বিজেপি সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে প্রতিশোধের রাজনীতি চালাচ্ছে। যে কারণে প্রতিটা জায়গায় হারাসমেন্ট করার জন‍্য আয়কর দপ্তরকে পাঠানো হচ্ছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি জানিয়েছে, যদি ন্যায় সঙ্গতভাবেই কারোর ঘরে অর্থ মজুত থাকে, তাহলে তা নিয়ে এত বিরোধিতা করার কোন কারণই নেই। সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!