এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ইতিহাসের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে উত্তরবঙ্গ ভাগের ইস্যুতে বিজেপিকে ফের প্রবল কটাক্ষ তৃণমূলের

ইতিহাসের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে উত্তরবঙ্গ ভাগের ইস্যুতে বিজেপিকে ফের প্রবল কটাক্ষ তৃণমূলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতমাসে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণার দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের মানুষও এটাই চান। আলাদা রাজ্য ঘোষণা করা হলেই উত্তরবঙ্গের উন্নতি হবে। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন জন বার্লা। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর আবার উত্তরবঙ্গ ভাগের দাবিতে সরব হয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা জানিয়েছেন যে, উত্তরবঙ্গকে স্বাধীন রাজ্য করার দাবি ১০০ বছরের পুরনো। স্থানীয় জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি এটি। এ বিষয় নিয়ে তিনি কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলবেন। জনতার দাবি কখনো দাবিয়ে রাখা যায় না। তাঁর এই বক্তব্যের পর বিজেপির বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে ইতিহাসের প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন তিনি।

তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানালেন যে, রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন তৈরি হবার পর ১৯৫৬ সালে ভাষার ভিত্তিতে নতুন রাজ্য গঠনের কাজ শুরু হয়েছিল। তখন থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জন্য পৃথক রাজ্য ঘোষণার দাবি করা হয়নি। তিনি জানিয়েছেন মালদা, দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিংকে নিয়ে উত্তরবঙ্গ গঠিত হয়েছে। ভৌগলিক ও প্রশাসনিক কারণে দিনাজপুর ভাগ করার দাবি করা হয়েছিল। জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারকে ভাগ করার দাবি করা হয়েছিল। দার্জিলিং থেকে কার্শিয়াংকে ভাগ করার দাবি করা হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বাম সরকারের সময় দিনাজপুরের ভাগ করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ক্ষমতায় এলে আলিপুরদুয়ারকে আলাদা জেলা হিসেবে তিনি ঘোষণা করবেন। এর একটা ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। যেখান দিয়ে গেছে রেশম রুট। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুরদুয়ারকে আলাদা জেলা করে মানুষের দাবি মিটিয়েছেন। কিন্তু কোন জেলা থেকেই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করার দাবি করা হয়নি।

তিনি জানালেন, কোচবিহারের মহারাজা জগদীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদুরের সঙ্গে ভারতের তৎকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের পরামর্শদাতা ভি পি মেননের কোচবিহার মার্জার চুক্তি হয়েছিল। যার দ্বারা সমস্ত প্রশাসনিক ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা অন্তর্বর্তী সরকার হাতে তুলে দেয়া হয়। চুক্তি হয়েছিল, সরকার যেভাবে ঠিক মনে করবে, সেভাবে প্রশাসনিক ক্ষমতা ভোগ করবে। কিন্তু এই চুক্তিতে নতুন রাজ্য গঠনের কথা বলা হয়নি।

তৃণমূলের অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গে ভোটে পরাজিত হবার পর রাজ্যকে ভাগ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের টুকরো করতে পারলেই অস্থিরতা তৈরি করে সাম্প্রদায়িকতা, হিন্দুত্ববাদ তৈরি করতে সুবিধা হবে। তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যভাগ বিজেপির একটি পুরনো খেলা। কখনো গোর্খাল্যান্ড, কখনো গ্রেটার কোচবিহারের দাবি করে বিচ্ছিন্নতাবাদী মানুষকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বিজেপি। গোর্খাল্যান্ড এর নামে ২০০৯ থেকে দার্জিলিংয়ের লোকসভা আসন বিজেপি ধরে রেখেছে। তৃণমূলের অভিযোগ কিছুদিন আগেই রাজ্যপাল দার্জিলিং সফরে গিয়ে নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এর মধ্যেও ষড়যন্ত্র খুঁজে পাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!