এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > যাদবপুর কান্ডে এবিভিপি দেখিয়ে দিল রাজ্যে গেরুয়া উত্থান উদ্ধমুখীই

যাদবপুর কান্ডে এবিভিপি দেখিয়ে দিল রাজ্যে গেরুয়া উত্থান উদ্ধমুখীই


লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের অনেক জায়গা সবুজ থেকে কিছুটা হলেও গেরুয়া হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সেই গেরুয়া রং মুছে যেতে শুরু করেছে বলে দাবি করেছিল সমালোচক মহলের একাংশ। তবে যাদবপুর কান্ড হয়তো বা সেই সমালোচকদের দাবিকে পুরোপুরি নস্যাৎ করে প্রমাণ করে দিল যে বাংলায় বিজেপির উত্থান দিনকে দিন বাড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্তার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

পরবর্তীকালে শাসক বনাম বিরোধীর তরজায় তা আরও চরম আকার ধারণ করে। কিন্তু বিনাযুদ্ধে যে বিজেপি এই ঘটনাতে ময়দান ছাড়তে নারাজ, তা আগেভাগেই বিভিন্ন মহল থেকে আঁচ করা হয়েছিল। সেই মতো সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অভিযানের ডাক দিয়েছিল আরএসএসের ছাত্রসংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ।

সূত্রের খবর, এদিন বেলা দেড়টার পর থেকে এবিভিপির এই মিছিল ঢাকুরিয়া থেকে শুরু হয়। তবে সঙ্ঘের এই ছাত্রসংগঠনের মিছিলকে আটকাতে পুলিশি ব্যবস্থা ছিল নজর কাড়ার মতো। জানা যায়, আন্দোলনকারীদের রোখবার জন্য যোধপুর পার্কে ঢোকার মুখেই লোহার ব্যারিকেড দিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে লাঠিধারী পুলিশ থেকে শুরু করে কাঁদানে গ্যাস, শেল, জলকামান মজুত রাখা হয়েছিল। যেন-তেন প্রকারেণ বিক্ষোভকারীরা যাতে অশান্তি ছড়াতে না পারে, তার জন্য প্রস্তুত ছিল প্রশাসন।

কিন্তু বিশৃঙ্খলা এড়ানো গেল না কিছুতেই। লোহার গেটকে সরিয়ে দিয়ে আরও সামনের দিকে যখন এগোতে তৎপর হয় এবিভিপির সদস্যরা, তখনই পুলিশের সঙ্গে তাদের চরম ধস্তাধস্তি শুরু হয়। মাথা ফাটে বেশ কয়েকজন এবিভিপি কর্মীর।

এদিকে এবিভিপির মিছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় না গেলেও আরএসএসের ছাত্র সংগঠনের তান্ডবের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসের চার নম্বর গেটে গান থেকে স্লোগানে মেতে ওঠেন পড়ুয়ারা। পাশাপাশি পঠন-পাঠনকে শিকেয় তুলে গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠনকে আটকানোর জন্য কলেজ ক্যাম্পাসের গেটে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অবতীর্ণ হতে দেখা গেল শিক্ষকদেরও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, অসুস্থ থাকলেও এদিন মিছিলের খবর শুনেই ক্যাম্পাসে হাজির হতে দেখা যায় উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন, তাহলে কি গেরুয়া শিবিরের বৃদ্ধি ঘটছে? আর তাই তা আটকাতে শেষ পর্যন্ত শিক্ষকদেরও ময়দানে নামতে হল? এদিন এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলেন, “সবার পাশে দাঁড়াতেই এসেছিলেন উপাচার্য।” তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটগুলিতে এবিভিপির দাপট রুখতে শিক্ষকদের একাংশ অবতীর্ণ হলেও এবিভিপির মিছিল যে রুট দিয়ে যাওয়ার কথা, তা অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্ত হয়েছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

এদিন এই প্রসঙ্গে সংগঠনের রাজ্য সহ-সভাপতি সুবীর হালদার বলেন, “মিছিলে অংশগ্রহণ নিয়ে আমরা যতটা আশা করেছিলাম, তা ছাপিয়ে গিয়েছে। পুলিশের লাঠির ঘায়ে আমাদের 7 জন জখম হয়েছেন, যেভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে আটকে দেওয়া হল, আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি।”

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এই আন্দোলনকে বেআইনি ঘোষণা করা হলেও নিজেদের মিছিলে জনসমাগম নিয়ে যে অত্যন্ত আত্মপ্রত্যয়ী গেরুয়া বাহিনী এবং দিনকে দিন যে রাজ্যে গেরুয়া বাহিনীর দাপট বাড়ছে, তা যাদবপুর কান্ডের এই আন্দোলন, মিছিলেই আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!