এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > যাদবপুরের পড়ুয়াদের মিছিলে পুলিশি লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী

যাদবপুরের পড়ুয়াদের মিছিলে পুলিশি লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী


জেএনইউতে পড়ুয়াদের উপর হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়ে গেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের রবিবার দিল্লিতে জেএনইউ এর প্রতি পড়ুয়াদের ওপর বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে সোমবার দিনভর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা দফায় দফায় মিছিল হয় এবং সেই মিছিল ঘিরেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে লাঠি চালানোর। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেএনইউতে গেরুয়া হামলার প্রতিবাদে রাজপথে আন্দোলনে মুখর ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিশি হস্তক্ষেপ কোন অবস্থাতেই বাঞ্ছনীয় নয়।

মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি এদিন তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি দলীয় অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন। ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিশের হস্তক্ষেপ যেন না হয়। অন্যদিকে, কলকাতার নগরপাল অনুজ শর্মা এদিন পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘‌বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের মিছিলের সময় কোনও মতে অধৈর্য হওয়া চলবে না। ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। নির্দেশে তিনি কলকাতা পুলিশের বাহিনীকে আরও বলেছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই এনআরসি এবং ক্যা নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন মিছিল, শোভাযাত্রা করছে। পুলিশও শান্তিপূর্ণ ভাবেই সেই সমস্ত মিটিং, মিছিল সামলেছে। দিল্লিতে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর কলকাতায় নতুন করে মিছিল শুরু হয়েছে। মিছিলে যাঁরা রয়েছেন, তাদের যথেষ্ট আবেগ রয়েছে। এই সময়ে কলকাতা পুলিশের বাহিনীকে ধৈর্যের সঙ্গে ও সংযত হয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব, যাতে শহর শান্তিপূর্ণ থাকে। এ ধরণের মিছিল, মিটিংয়ে দায়িত্বে থাকা অফিসার এবং বাহিনীর অন্য সদস্যদের কঠোর ধৈর্ষের পরিচয় দিতে হবে। তাঁরা যেন কোনও মতেই মাথা গরম করে কিছু না করেন।‌’

অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‌রবিবার সন্ধ্যায় যাদবপুরে ছাত্রছাত্রীরা মিছিল করে। গোলমাল হয়। পুলিশের ভূমিকাও সমর্থনযোগ্য নয়। আমিরাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে সব জানিয়েছি। পাশাপাশি বিজেপিও অনুমতি না নিয়ে মিছিল করতে রাস্তায় নেমে পড়ে। ওরা কোনও ব্যাপারে অনুমতি নেয় না। গায়ের জোর দেখিয়ে বলে দেখো আমাদের কত ক্ষমতা।’‌ এদিন শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, শিক্ষাক্ষেত্রে পুলিশের প্রবেশ কোনমতেই সমর্থনযোগ্য নয়। শিক্ষামন্ত্রী জানান একই কথা মুখ্যমন্ত্রীও বারংবার জানিয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে কোনভাবেই যেন পুলিশের প্রবেশ না হয় এদিন শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, জেএনইউ সমাজের সমস্ত পক্ষই প্রতিবাদ জানিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এরপর তিনি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর নাম না করেই তাকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‌তিনি রাজনীতিতে পরিণত নন।’ অন্যদিকে সিপিএমকে আক্রমণ করে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে অনেকেই ভুলে গেছেন কে শত্রু, বিজেপি না মমতা? এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাংবাদিকদের তরফ থেকে বলা হয়, জেএনইউ এর ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের হাতে পুলিশ প্রশাসন এর ক্ষমতাভার নেই। দিল্লীর প্রশাসন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নিয়ন্ত্রণে। তাই যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অঙ্গুলিহেলনে। আর একথা বলাই বাহুল্য, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের শীর্ষে আছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।

অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‌আমরা এখনও ধৈর্য দেখাচ্ছি। তাঁর সঙ্গে রাজভবনে দেখা করে এলাম। আমি কিন্তু সাংবাদিকদের কিছু বলিনি। টুইট করে তিনি সব বলে দিলেন। কত দিন সুসম্পর্ক রাখতে পারব জানি না। রাজনৈতিক নেতাদের মতো রাজ্যপাল কথা বলছেন। উপাচার্যরা বিধি অনুযায়ী কাজ করবেন। এখানে আমার বলার কিছু নেই।’‌‌

সোমবারে ছাত্রদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনা নিয়ে লালবাজারের কোন কর্তা অবশ্য সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। এ ব্যাপারে পুলিশের ঘরোয়া অনুসন্ধানে একাধিক কারণ উঠে এসেছে। যার অন্যতম হলো, পুলিশ বাহিনীর ধৈর্য হারানো। অন্যদিকে, জেএনইউ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতায় ইতিমধ্যে প্রচুর মিছিল, প্রতিবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের তরফ থেকে। তাই পুলিশকে এইসময় সদাসতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উচ্চমহল থেকে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!