যাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই, তাঁরাই এখন জার্সি বদলে দলে! বিজেপির নীচুতলার ক্ষোভ ক্রমশ তীব্র হচ্ছে বিজেপি মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য January 19, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এ রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে বিজেপি উদ্যত হলেও, তাদের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন তাদের প্রধান মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে এতদিন বিজেপির পক্ষ থেকে যে সমস্ত তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হতে দেখা গিয়েছিল, এবার সেই সমস্ত নেতাকর্মী বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই যাদের বিরুদ্ধে বিজেপির এতদিন আপত্তি ছিল, সেই নেতারা তাদের দলে চলে আসায় এখন বিজেপির অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছে। যার ফলে বিড়ম্বনা বাড়তে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের। ইতিমধ্যেই দিল্লির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দলবদলের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। স্বাভাবিক ভাবেই এখন গোটা পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিতে হচ্ছে বিজেপি নেতা কর্মীদের। তবে এবার যে কোন্দল ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে, তা প্রমাণিত হয়ে গেল। সূত্রের খবর, সোমবার নন্দীগ্রাম 2 ব্লকের আমদাবাদ 1 গ্রাম পঞ্চায়েতের সুবদি বীনাপানি বুথে বিজেপির পুরনো নেতাকর্মীরা ফ্লেক্স টাঙিয়ে সদর দলে আসা নেতাদের নিয়ে আপত্তি করেন। বিজেপির এই সমস্ত নেতা কর্মীরা দাবি, কিছুদিন আগেই নন্দীগ্রাম 2 পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী সহ বেশ কিছু ব্যাক্তি পদ্ম শিবিরে নাম লেখান। কিন্তু এই সমস্ত ব্যাক্তিদের নিয়েই আপত্তি তৈরি হয়েছে বিজেপির একাংশের মধ্যে। এককালে দলে আসা এই ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে সরব হওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন তারা দলে আসায় কাজ করতে যথেষ্ট অসুবিধা হচ্ছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু এই সমস্যা যদি চলতে থাকে, তাহলে কিভাবে ঐক্য স্থাপন করা সম্ভব হবে! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির বুথ সভাপতি নান্টু মাইতি বলেন, “যারা পঞ্চায়েতে আমাদের মনোনয়ন দিতে বাধা দিয়েছিল, তাদেরই আদর করে দলে নেওয়া হয়েছে। তাই এই দলবদলুদের দুদিনের মধ্যে দল থেকে বের করে না দিলে আমরা একযোগে বিজেপি ত্যাগ করব।” তবে গোটা পরিস্থিতিকে সমাধান করতে উদ্যোগী ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, “কোথাও কোথাও কর্মীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে।আমরা আলোচনা করে সমস্যা মেটাব।” তবে আদৌ এই সমস্যা মিটবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কেননা যাদের বিরুদ্ধে এতদিন বিজেপি নেতা কর্মীরা সরব হয়েছিল, এখন তারাই দলে। যার কারনে অনেকেই তা মেনে নিতে পারছেন না। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কাউকে দলে নেওয়া নিয়ে আপত্তি তোলা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন, শীর্ষ নেতৃত্ব এবং নীচুতলার নেতা কর্মীদের মধ্যে দলবদলুদের নিয়ে দড়ি টানাটানি হলে কিভাবে বিজেপি সাফল্য পাবে। এমনিতেই বিজেপি সাংগঠনিক দল হিসেবে পরিচিত। সেদিক থেকে নীচুতলায় ভোট করা কর্মীরাই যদি সদ্য দলে আসা ব্যাক্তিদের নিয়ে আপত্তি করে, তাহলে বিজেপির যে অস্বস্তি বাড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -