এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন ঘিরে চূড়ান্ত অসন্তোষ! পিছনে বিজেপি-সঙ্ঘের ‘কৌশল’ দেখছে তৃণমূল

জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন ঘিরে চূড়ান্ত অসন্তোষ! পিছনে বিজেপি-সঙ্ঘের ‘কৌশল’ দেখছে তৃণমূল


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পর এবার জগদ্ধাত্রী পুজো। দুর্গাপুজো, কালীপুজোয় কড়া পদক্ষেপের পর আদালতের নির্দেশ ছিল জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রাকে ঘিরে। কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো অতি প্রাচীনকাল থেকেই সাঙয়ের শোভাযাত্রার জন্য প্রসিদ্ধ। কিন্তু করোনাকালে আদালতের নির্দেশে সেই সাঙ শোভাযাত্রা বন্ধ করতে হয় এবছর। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক টানাপোড়েন। ক্ষোভ জমে উঠেছে তৃণমূলের প্রতি আর এক্ষেত্রে তৃণমূল কিন্তু এর পেছনে বিজেপি এবং আরএসএসের যোগসাজশ থাকার কথা পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছে না। এবছর কৃষ্ণনগরের শোভাযাত্রা ও সাঙ বন্ধ করা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়।

এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে আরএসএস বিজেপি শাসকদলের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ তৈরি করছে জনমানসে বলেও অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল অভিযোগ জানায়, শুধুমাত্র মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বিজেপি তাই নয়, ইচ্ছাকৃতভাবে প্রশাসনের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করে মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি করছে। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, কৃষ্ণনগরের তরুণ সমাজকে শাসকদলের বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে গেরুয়া শিবির। এ বছরই প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজোয় কয়েকটি বারোয়ারির পক্ষ থেকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি শোনা গিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তাঁকে কটূক্তিও করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক প্রবীণ নেতা মনে করেন, তরুণ সমাজের পক্ষ থেকে এ কাজ করা হলেও পেছনে কাজ করছে বড়োসড়ো মাথা। সেক্ষেত্রে দ্রুত রাজনৈতিক জমি পুনরুদ্ধার করার কথা বলা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এ প্রসঙ্গে নদীয়া জেলা তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি তথা কৃষ্ণনগর পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহা জানান, জগদ্ধাত্রী পূজার বিসর্জন শোভাযাত্রা আদালতের নির্দেশে বন্ধ হয়েছে। কিন্তু সেই ঘটনাকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি এবং আরএসএস। বিভিন্ন সময়ে সরকার বিরোধী কথাবার্তা, জয় শ্রীরাম ধ্বনি শোনা যাচ্ছে জগদ্ধাত্রী পূজো বারোয়ারী থেকে। তবে তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি স্বীকার করে নিয়েছেন দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।

অন্যদিকে বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া কনভেনর সন্দীপ মজুমদার এ দিন জানান, তৃণমূলের অভিযোগে কোন কিছু যায় আসে না। প্রাচীনকাল থেকে কৃষ্ণনগরে সাঙ প্রথা চলে আসছে। কৃষ্ণনগরবাসীর সঙ্গে একটি আবেগ কাজ করছে এক্ষেত্রে। আর সেই আবেগকে আঘাত দিয়েছে শাসক দল। অন্যদিকে কৃষ্ণনগর শহরের দীর্ঘদিনের বাসিন্দারাও বলছেন, জগদ্ধাত্রী পূজোর বিসর্জন ঘিরে কৃষ্ণনগরের গন্ডগোল অবশ্যই হয়েছে কিন্তু তাতে কোনো রাজনৈতিক রঙ লাগেনি। তবে একথা পরিষ্কার- বিজেপি তৃণমূলের অভিযোগ মানতে না চাইলেও আদালতের নির্দেশে সাঙ বন্ধ রাখার জন্য কোনরকম জনমত কিন্তু গড়ে তোলেনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে আদালতের নির্দেশ মেনে শাসকদল এই মুহূর্তে কিছুটা বেকায়দায় বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে যেমন প্রশাসনের নির্দেশ মানার কথা বলা হয়েছে, অন্যদিকে দীর্ঘদিনের আবেগ ধরে রাখতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে শাসক শিবিরকে। সবমিলিয়ে তাঁদের অবস্থা অত্যন্ত সমীচিন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তৃণমূল শিবিরের এক নেতার মতে, জগদ্ধাত্রী পূজা মিটে গেলেও কিন্তু শোভাযাত্রা ইস্যুতে মানুষের মনে ক্ষোভ জমছে। আর সেই ক্ষোভ মেটাতে গেলে অতি অবশ্যই দলের পক্ষ থেকে কিছু না কিছু করতে হবে। প্রসঙ্গত কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজার শোভাযাত্রা না হওয়ায় একেবারে ভোট বয়কট এর ডাক দিয়ে ইতিমধ্যেই ফ্লেক্সও পড়ে গিয়েছে কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন জায়গায়।

এবং সব ক্ষেত্রেই শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে কৃষ্ণনগর জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র তথা কাঁঠালপোতা বারোয়ারির সভাপতি দেবাশীষ রায় জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে সত্যিই। কিন্তু তাতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার বা গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। তবে বিজেপি আরএসএস-এর উস্কানির কারণেই এই ঘটনা ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, কৃষ্ণনগর এলাকায় কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছিল। তৃণমূল নেতাদের মধ্যেও রয়েছে শহর কমিটি নিয়ে চাপা ক্ষোভ।

সবমিলিয়ে তৃণমূলের দুর্বলতার সুযোগ নিতে এবার মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাজ্যের অন্যতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব জমে উঠেছে। এর আগে দুর্গাপুজো কালীপুজো নিয়েও বিস্তর রাজনৈতিক সমস্যা তৈরি হয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। আর এবার কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পূজার বিসর্জন ঘিরে মানুষের মনে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে আর এই ঘটনাতেও লেগেছে রাজনৈতিক রঙ। সব মিলিয়ে কৃষ্ণনগর জেলায় এখন তীব্র উত্তেজনা।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!