জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যায় রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ নিয়ে ঝড় তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় রাজ্য October 10, 2018 রাজনৈতিক বিরোধীতা থাকলেও বিভিন্ন সময় বিরোধী দলগুলির প্রতি সৌজন্যতা প্রদর্শন করে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সাম্প্রতিককালের রাজনৈতিক মানচিত্রে সেই সৌজন্যতাই হ্রাস পেয়েছে- এবার সেই বিষয় নিয়েই তৃনমূল কংগ্রেসের মুখপত্র “জাগো বাংলা” র উৎসব সংখ্যায় লিখেছেন খোদ তৃনমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সোমবার মহালয়ার পুন্যলগ্নে প্রতিবারের ন্যায় এবারও এই বছরের জাগো বাংলার শারদ সংখ্যার শুভ সূচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এদিন “জনসেবক” , “যুগান্তর” , এবং “খাস খবর” এর সাথে যুক্ত প্রায় 57 বছর সাংবাদিকতাকে পেশা হিসাবে বেছে নেওয়া মিহির গঙ্গোপাধ্যায়কে জাগো বাংলার পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হয় লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার। এছাড়াও এই জাগো বাংলার মঞ্চ থেকেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর লেখা এবং সুর দেওয়া ছটি গানের সিডি “রৌদ্রছায়া” নামে প্রকাশ করেন। এই মঞ্চ থেকে আকাশবানীর মহিষাসুরমর্দিনীর প্রভাতি অনুষ্টানের রেকর্ডিংয়ের বিষয়ে স্মৃতিচারনা করতে শোনা যায় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এবং অসীমা মুখোপাধ্যায়কে। তবে এতসবের মাঝেও এদিন জাগো বাংলা উৎসব সংখ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর লেখা সকলের নজড় কেড়েছে। কিন্তু ঠিক কী বিষয়ে লেখা আছে সেখানে? জানা গেছে, সৌজন্য শিরনোমের প্রবন্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, যত দিন যাচ্ছে ততই যেন অস্বাভাবিকভাবে হারিয়ে যাচ্ছে সৌজন্য। যেখানে দেশের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সাথে তাঁর সৌজন্যমূলক সম্পর্কের কথা টেনে আনেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। বইয়ে তিনি লিখেছেন, রাজনৈতিক আদর্শে ব্যাক্তি কুৎসা করতে নেই। রাজনৈতিক বিরোধীতা রাজনৈতিক সীমার মাঝেই রাখা উচিত বলে নিজের কলমে তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই অটলবিহারীর বাজপেয়ীর প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী শারদ সংখ্যায় লেখেন, “অটলজী কোনোদিন কোনোও অসম্মানজনক কথা আমাদের বলেননি। অনেক কথাই তিনি আমাকে শেয়ার করতেন, যা আজও আমি পাবলিকলি বলব না, কারন এটা বিশ্বাসের ধর্ম। কেউ বিশ্বাস করে কোনো কথা বললে তা নিজের মধ্যেই রাখা উচিত বলে আমি মনে করি।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে পাশাপাশি তিনি তাঁর কলমে ইন্দিরা গান্ধীকে দেখার সুযোগ না হলেও পরবর্তী সব নেতার সাথেই যে তার সৌজন্যের সম্পর্ক রয়েছে তা উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এইখানেই বর্তমান রাজনীতিতে সৌজন্য হারিয়ে যাওয়া নিয়ে নিজের লেখায় হতাশাকেই তুলে ধরেন বঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি লেখেন, “খুব খারাপ লাগে যখন দেখি ইদানিং কিছু ভুইফোঁড় নেতা আদর্শের কোনো ধার না ধরেই কুৎসা করে চোখ রাঙায় আর গুন্ডাদের মত কথা বলে। তখন মনে হয়, রাজনৈতিক সৌজন্যবোধের হাতেখড়ির পাঠ এদের হয়নি। এরা দেশ চালাবে? দেশের নেতা হবে?” রাজনৈতিক মহলের মতে, শুধু নিজের বক্তব্যে নয় দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলার শারদ সংখ্যাতেও বর্তমান কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে যে সৌজন্যতাবোধের অভাবে খোঁচা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই। আপনার মতামত জানান -