এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > জয় জওয়ান! ভারতের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’ বার্তা চীনের! কাটছে মেঘ!

জয় জওয়ান! ভারতের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’ বার্তা চীনের! কাটছে মেঘ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন ধরেই চীন এবং ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। বলা যায়, যুদ্ধের দামামা বাজছিল। এবং গত 45 বছর পর আবারও ভারত-চীন নিয়ন্ত্রণরেখায় শুরু হলো গোলাগুলি। সূত্রের খবর, ভারত-চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কমপক্ষে 20 জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন এবং আহত আরও বহু বলে জানা গেছে। সোমবার রাতে আকসাই চীন এর কাছে লাদাখের এই অঞ্চল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারত-চীন সেনাদের লড়াইয়ে।

অন্যদিকে ভারত চীন সীমান্তে যখন তীব্র সংঘর্ষ ও রক্তপাত চলছে, তখনই আবার দুই দেশ কূটনৈতিক জগতে স্নায়ুযুদ্ধে নামলো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সোমবার রাতের পর এই মুহূর্তে চীন তাঁদের সুর নরম করেছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে চীনাদের দাবি, ভারতীয় সেনারা অন্যায় ভাবে চীনের সীমানায় প্রবেশ করতে গেছিল, আর তাই এই উত্তেজনা শুরু। কিন্তু বেজিং এখনো ভারতের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী বলে বার্তা দিয়েছে বলে খবর। ভারতীয়দের পক্ষে কুড়িজন শহীদ হলেও আহত জওয়ানদের সংখ্যা বেশ অনেক জন বলে শোনা যাচ্ছে।

অন্যদিকে সীমান্তের ওপারে চীনা সরকার নিজেদের দেশের মৃত বা আহতদের সংখ্যা প্রকাশ করেনি এখনও, তবে হতাহতের কথা তাঁরা মেনে নিয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার চিনা বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকেই ঝাও লিজিয়ান জানান, ভারতীয় সেনারা জোর করে চীন সীমান্তে প্রবেশ করতে গেলে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এবং তাতে প্রাণহানি ঘটে। অন্যদিকে ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তের ওপারে যত চীনা সৈনিককে নিরাপদ দূরত্বে সরাতে দেখা গেছে, তার ভিত্তিতে এখনো পর্যন্ত বলা যায় অন্তত 40 জনের বেশি হতাহত হয়েছে চীনে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে সোমবারের পর চীন যে কিছুটা চাপে রয়েছে, তা কার্যত স্পষ্ট কূটনৈতিক স্তরে। যদিও তাঁরা মুখে দাবি করছে, ভারতীয় সেনাদের বেআইনিভাবে সীমান্ত লঙ্ঘন সোমবারের সীমান্ত পরিস্থিতি উত্তেজিত হওয়ার কারণ। এরপর আবার চীন ভারতের কাছে আবেদন জানিয়েছে, ভারতীয় সেনারা যেন আর কখনো সীমান্ত পেরোনোর বা উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা না করে। আর তার পরেই চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন, ভারতের সঙ্গে তাঁরা এখনও আলোচনা চালিয়ে যেতে রাজি।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, ইতিমধ্যেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে রীতিমতো কোণঠাসা চীন সরকার। তারপরে নতুন করে যেভাবে চীন আবার ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্তরে যথেষ্ট সমালোচনা শুরু হয়েছে চীনের। এই পরিস্থিতিতে চীন যে বড়ই বেকায়দায় পড়তে চলেছে তা স্পষ্ট। আর সে কারণেই চীন এই মুহূর্তে সুর নরম করে ভারতের সাথে আবারও আলোচনার পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছে। যদিও এবার দেখার, ভারত কি এরপর বেজিংকে বন্ধু হিসেবে পাশে টেনে নেয়, নাকি চরম জবাব দেবার পদক্ষেপ গ্রহণ করে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!