এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জেল থেকে সোজা ঘরে যাবার অনুমতি চাইলেন জঙ্গলমহলের অধিপতি তথা তৃণমূল নেতা

জেল থেকে সোজা ঘরে যাবার অনুমতি চাইলেন জঙ্গলমহলের অধিপতি তথা তৃণমূল নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জঙ্গলমহলের একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে যাকে মানা হয়, সেই ছত্রধর মাহাতো সম্প্রতি এনআইএ হেফাজতে। দীর্ঘ কারাবাসের পর ছাড়া পেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে তৃণমূলের রাজ্য সংগঠনের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন ছত্রধর। তাঁকে সামনে রেখেই জঙ্গলমহল পুনরুদ্ধারে নেমেছিল রাজ্যের শাসকদল। ফলও পাওয়া গেছে আশানুরূপ। কিন্তু ভোটের রেজাল্ট দেখার সৌভাগ্য হয়নি ছত্রধরের। কারণ ভোট মেটার পরেরদিনই গ্রেফতার হন তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য ছত্রধর মাহাতো। তারপর থেকেই তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। সম্প্রতি ছত্রধরের তরফ থেকে আদালতের কাছে গৃহবন্দী থাকার আবেদন রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই নারদ মামলার চার অভিযুক্ত নেতা গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ পেয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেদিকে নজর দিয়েই ছত্রধর এই আবেদন জানিয়েছেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। প্রসঙ্গত, ছত্রধরের আইনজীবীরা আবেদন জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি এবং ছত্রধরের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে ছত্রধরকে গৃহবন্দি থাকার অনুমতি যেন দেওয়া হয়। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, এনআইএর বিশেষ আদালত ছত্রধরের এই আবেদন গ্রহণ করেছে। আগামী সোমবার এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি হবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, 2009 কাঁটাপাহাড়ি বিস্ফোরণে তৎকালীন সিপিএম সরকারের হাতে গ্রেপ্তার হন ছত্রধর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গ্রেপ্তার হওয়ার ঠিক কুড়ি দিন পর ঝাড়গ্রামে রাজধানী এক্সপ্রেস পণবন্দী করা হয়। সেখানেও ছত্রধরের নাম জড়ায়। অভিযোগ উঠেছে, জেলে থাকাকালীন ছত্রধর রাজধানী এক্সপ্রেসকে বন্দি করার ছক কষেছিলেন। সেসময় ছত্রধর জঙ্গলমহলের অন্যতম আদিবাসী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। 2018 সালে সেই মামলায় জেল থেকে ছাড়া পায় ছত্রধর। কিন্তু তা সত্বেও ঘাটশিলার একটি মামলায় তিনি আটকে ছিলেন দীর্ঘদিন। এরপর ঝাড়খন্ডে বিধানসভা নির্বাচনে পতন হয় বিজেপি সরকারের। সাথে সাথেই ঘাটশিলা মামলা থেকে ছত্রধর মাহাতো মুক্তি পান।

যা নিয়ে বিতর্ক রয়ে গিয়েছে। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাঁকে গত বছর জুলাই মাসে রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য করে নিয়ে আসেন। কিন্তু  এনআইএর গোয়েন্দা দপ্তর ছত্রধরের পিছন ছাড়েনি। তারা ক্রমাগত নজর রেখে গেছেন ছত্রধরের ওপর এবং অবশেষে জঙ্গলমহলের ভোটের পরেই ছত্রধরকে তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হয় ইউএপিএ আইনের সাহায্যে। আপাতত দেখার, ছত্রধরের আবেদন মেনে তাঁকে গৃহবন্দী থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় কিনা!

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!