এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > গভীর রাতের নিখুঁত গোপন অভিযানেই বাজিমাত গোয়েন্দাদের! ভালো মানুষের মুখোশ খুলে নিল ৬ জঙ্গির!

গভীর রাতের নিখুঁত গোপন অভিযানেই বাজিমাত গোয়েন্দাদের! ভালো মানুষের মুখোশ খুলে নিল ৬ জঙ্গির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গোপন সূত্র মারফত পূর্বেই গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল সেই মতো অতর্কিতে হানা দিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠীর একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করল বিএসএফ, এনআইএ আধিকারিকেরা। মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গির মধুপুর গ্রাম থেকে ৬ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হলো।

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, জঙ্গী গোষ্ঠীর এই সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা তেমন না থাকলেও অনলাইনে তারা যথেষ্টই পারদর্শী ছিল। কেউ যাতে তাদের খবর জানতে না পারে সে কারণেই তারা ভদ্রতার মুখোশ ধরে রেখেছিল গ্রামবাসীর কাছে। সকলের কাছ থেকে নিজেদের অনেকটাই গুটিয়ে রেখে দিয়েছিল তারা। তাই তাদের গ্রেপ্তারের পর অনেকেই বিস্মিত হয়ে ওঠেন। প্রতিবেশীরা জানান, নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে এরা জড়িত আছে, একথা তারা কল্পনাও করতে পারেন নি। হতভম্ব তাদের বাড়ির লোকেরাও।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে যে, জঙ্গি গোষ্ঠীর এই ৬ জন সদস্যই কেরালা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। লকডাউনের সময় তারা ঘরে ফিরে এসেছিল। কিন্তু কিছুদিন পরেই তাদের আবার কেরালা ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। সম্ভাবনা ছিল নাশকতার। সময় মত যদি তাদের গ্রেফতার না করা যেত, তাহলে একটা বিরাট বড় বিস্ফোরণের আশঙ্কা ছিল।

এই সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করতে গোয়েন্দারা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে অভিযান চালিয়েছিলেন।ধৃতেরা আত্মগোপনের চেষ্টাও করেছিল। কেউ ঘরের দরজা বন্ধ রেখেছিল, কেউ বা বাথরুমে লুকিয়েছিল, কেউ আবার বাড়ির পেছন দরজা দিয়ে পালাবার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু চারদিকে গোয়েন্দারা ঘিরে ফেলার কারণে পালাতে পারেনি তারা। মধুপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার রাত এগারোটা থেকে গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ছিল গোয়েন্দারা। গ্রামবাসীরা প্রথমে কিছুই জানতে পারেনি। কেউ বা টিভিতে খবরে দেখে বিষয়টি জানতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গি মধুপুর গ্রামে সন্দেহভাজন মইনুল মন্ডলকে গতকাল শনিবার রাত তিনটে নাগাদ গ্রেফতার করে বিএসএফ, এনআইএ আধিকারিকেরা। সবাই যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন তার বাড়িতে উপস্থিত হয় গোয়েন্দারা। তার মা বাড়ির দরজা খুলে দিলেও সে বাথরুমের ভেতর লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গতকাল শনিবারই তার কেরালা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল ভোরেই তাকে গ্রেফতার করা হলো। তার বাড়ির লোক এই ঘটনায় হতভম্ব। তার মা আনোয়ারা বিবি এ প্রসঙ্গে জানালেন, “ছেলে বাইরের লোকের গলা শুনেই বাথরুমে চলে গিয়েছিল। তবে ও কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে আমাদের মনে হয় না।” বিস্মিত তার প্রতিবেশীরাও।

জলঙ্গীর মধুপুর গ্রাম থেকে মুর্শিদ হাসান, ইয়াকুব বিশ্বাস, মোশারফ হোসেন, নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, আল মামুন কামাল, আতিউর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে জঙ্গী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে। একটি পরিবার থেকেই দুজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত এই দুজনের মধ্যে একজন হলো আতিউর।

আতিউর তার পাড়ার একজন শিক্ষিত যুবক হিসেবে পরিচিত। সরকারি অফিসের কারো কোন সমস্যা হলে তাকে সহযোগিতা করত সে। তবে, বেশিরভাগ সময়ই সে বাড়ির একটা ছোট ঘরে বসে থাকত। তার বাবা তাজিমউদ্দিন মণ্ডল এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “ভোরের দিকে হঠাৎ করেই বাড়ির দরজায় কয়েকজন কড়া নাড়ে। ভেবেছিলাম গ্রামের লোকজন কেউ। ঘুম চোখে দরজা খুলতেই হুড়মুড়িয়ে বেশ কয়েকজন ঘরে ঢুকে পড়ল। তারা বাড়িতে এসেই ছেলের খোঁজ করতে থাকে। ছেলে সেসময় বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিল। দরজায় ধাক্কা দিয়ে তাকে তারা বের করে আনে। ছেলের ঘর থেকে তারা একটি বই ছাড়াও মোবাইল ফোন এবং বেশকিছু কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!