এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘জালিয়াতির’ অভিযোগে বাবুলকে আইনি নোটিশ অভিষেকের! ‘সিরিয়াসলি নিয়ে না’ বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

‘জালিয়াতির’ অভিযোগে বাবুলকে আইনি নোটিশ অভিষেকের! ‘সিরিয়াসলি নিয়ে না’ বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মহালয়াতে তৃণমূল ও বিজেপি মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল তর্পণ কাণ্ড ঘিরে। কিন্তু সেই দ্বন্দ্ব অন্য মাত্রা পায় যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাবুল সুপ্রিয় সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ভিডিও বার্তা থেকে বাবুল সুপ্রিয় কিছু শব্দ কে কোট করে টুইটারে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বাংলার রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র আলোড়ন। অন্যদিকে তৃণমূলের যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র নামে আইনি নোটিশ পাঠালেন বলে জানা গেছে।

ওই নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে, অভিষেকের বক্তব্যের কিছু শব্দ বেছে ইচ্ছাকৃতভাবে টুইটারে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা দোষারোপ করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু যে নোটিশ পাঠিয়েছেন বাবুলকে সেখানে বলা হয়েছে, 72 ঘণ্টার মধ্যে বাবুলকে ঐ টুইট প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি বিকৃত ও মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের জন্য টুইটার কর্তৃপক্ষকেও এবার নোটিশ পাঠিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী।

যদিও বাবুল সুপ্রিয়র পক্ষ থেকে এই আইনি নোটিশকে মোটেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছেনা এবং সেরকমই জানিয়েছেন বাবুল। বাবুলের বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিরিয়াসলি তিনি নেন না। বরং তাঁর মুখ থেকে সত্যি কথা বেরিয়ে গেছে বলেই তিনি মনে করেন। এ প্রসঙ্গে বাবুল এদিন জানিয়েছেন, 2021 এ মানুষ রাজ্যে বদল আনবে। তবে আইনি নোটিশ পাঠানোর ব্যাপারটিকে বাবুল এতটাই হালকা করে দিয়েছেন, যে তিনি এই নোটিশ আলাদা জায়গায় রেখে দেন বলে জানিয়েছেন। যা করবার তা তাঁর আইনজীবী করবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে জানা গেছে, এই সমস্ত ঘটনার সূত্রপাত মহালয়ার সকালে ফেসবুক লাইভে অভিষেকের একটি বক্তৃতা থেকে। সেখানে অভিষেক বক্তব্য রাখেন, ”মুখ্যমন্ত্রীর অমানবিক, অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলার একাধিক প্রকল্প বিশ্ব দরবারে সম্মানিত হচ্ছে।” এই কথা থেকে বাবুল সুপ্রিয় শুধুমাত্র ‘অমানবিক’ শব্দটি হাতিয়ার করে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে শুরু করেন বলে জানা যাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বাবুল সুপ্রিয়কে সেখানে বলা হয়েছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিদ্বেষপরায়ণভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শব্দবন্ধটি বাবুল ব্যবহার করেছেন।

জনগণের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে বাবুল। যা মানহানির নামান্তর বলে ব্যাখ্যা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। তবে যে ভিডিও বার্তা নিয়ে এত কিছু হয়েছে, সেই ভিডিওবার্তা কিন্তু প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার পক্ষ থেকে যাচাই করা হয়নি। একুশের বিধানসভা যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি। কেউ কাউকে 1 ছটাক জমিও ছাড়তে নারাজ। সে জায়গায় অভিষেক এবং বাবুলের দ্বন্দ্ব যে অন্যমাত্রা আনল এই লড়াইয়ে তা স্পষ্ট। আপাতত এই লড়াই কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকেই এখন লক্ষ্য থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!