এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জল্পনা কল্পনার অবসান! সঙ্কট কাটিয়ে আজই হরিয়ানায় বিজেপি জোট সরকারের শপথ

জল্পনা কল্পনার অবসান! সঙ্কট কাটিয়ে আজই হরিয়ানায় বিজেপি জোট সরকারের শপথ


অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে জট কাটল হরিয়ানায়। গত 21 অক্টোবর হরিয়ানায় হয়ে যায় বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের প্রচার বিজেপি খুব জোরদার করলেও নির্বাচনের ফল প্রকাশে দেখা যায় হরিয়ানাতে বিজেপি বেশ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। বরং এগিয়ে গেছে কিংমেকার দুষ্মন্ত চৌতালার দল জেজেপি। এই অবস্থায় বিজেপির চিন্তা ছিল সরকার গড়া নিয়ে। এরপর বিজেপির পক্ষ থেকে দুষ্মন্ত চৌতালার সাথে কথা বলে সরকার গড়তে ম্যাজিক ফিগার এর ব্যবস্থা করা হয়। আর তারপর সরকারি সিদ্ধান্তে মনোহর লাল খট্টর আবারও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন।

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন মনোহর লাল খট্টর এবং উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন জেজেপি নেতা দুষ্মন্ত চৌতালা। হরিয়ানা রাজভবনে বেলা দুটো পনেরো নাগাদ এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। এদিন মনোহর লাল খট্টর জানিয়েছেন, ‘হরিয়ানাতে সরকার গঠনের দাবি রয়েছে আমাদের কাছে। রাজ্যপাল আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন এবং আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। আমি ইতিমধ্যেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি যা গ্রহণও করা হয়েছে। আগামীকাল বেলা দুটো পনেরো মিনিট নাগাদ রাজভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন দুষ্মন্ত চৌতালা।

প্রসঙ্গত শনিবার রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ন আর্যের সঙ্গে দেখা করে মনোহর লাল খট্টর হরিয়ানায় সরকার গড়ার আবেদন করেন। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন তাদের জোটসঙ্গী নেতা দুষ্মন্ত চৌতালা। দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন মনোহর লাল খট্টর।

এদিন বিজেপি ও জেজেপি বিধায়করা চণ্ডীগড়ের ইউ টি গেস্ট হাউসে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মনোহর লাল খট্টর, বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এর আগে খট্টরকে হরিয়ানার বিজেপি পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়। দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন তিনি। তবে হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জেজেপি।

হরিয়ানাতে এবার সরকার গড়তে গিয়ে রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ পড়ে বিজেপি শিবিরে। কারণ এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ম্যাজিক ফিগার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি হরিয়ানায়। উল্টো দিকে কংগ্রেসও ক্ষমতা দখলের আসরে নামে। এই অবস্থায় আবারো ম্যাজিক দেখালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। দুষ্মন্ত চৌতলার সাথে যোগাযোগ করে তিনি সরকার গঠনের পরিকল্পনা করে ফেলেন। এবং শুক্রবার রাতে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়ে দেন, হরিয়ানায় জেজেপি বিজেপি জোট সরকার গঠন করবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘হরিয়ানার জনতার জনাদেশকে সম্মান করি। সেই জনের মাথায় নিয়ে দুই দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিজেপি ও জেজেপি একসঙ্গে সরকার চালাবে। মুখ্যমন্ত্রী হবেন ভারতীয় জনতা পার্টির। উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন জেজেপির। নির্দল বিধায়করাও সমর্থন দিয়েছেন।’

90 আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় সরকার গড়তে দরকার ছিল ম্যাজিক ফিগার 46। কিন্তু 40 আসনেই থমকে যায় বিজেপির রথ। নির্বাচনের ফল বের হলে দেখা যায়, হরিয়ানায় ত্রিশঙ্কু অবস্থা বিধানসভার। এই অবস্থায় সাত নির্দল বিধায়কের সমর্থন জোগাড় করে বিজেপি। কিন্তু বিতর্ক বাঁধে নির্দল বিধায়ক কান্ডার সমর্থন ঘিরে। বিজেপি নেত্রী উমা ভারতীও আপত্তি তোলেন। এই বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে বিরোধী পক্ষ থেকেও। যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুটি আত্মহত্যার প্ররোচনা রয়েছে তার সমর্থন নিয়ে কিভাবে বিজেপি সরকার গঠন করবে?

বিরোধীতা যখন চরমে তখনই বিজেপির তরফ হরিয়ানার ভারপ্রাপ্ত নেতা অনিল জৈন জানিয়ে দেন, ‘বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকের পরই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে দল নির্দল বিধায়ক কান্ডার সমর্থন নেবে কিনা।’ হরিয়ানার ম্যাজিক ফিগার মিললেও সেই সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে সন্ধিগ্ধ হন মোদি-শাহ জুটি। তাই সরকার গঠনের লক্ষ্যে যত শীঘ্র সম্ভব তাঁরা বিজেপি নেতা দুষ্মন্ত চৌতালার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সরকার গড়ার সিদ্ধান্তটি পাকা করেন।

তবে এই প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নির্দল বা জেজেপি দল তাদের দাবি পূরণ হওয়ার কারণেই সরকার গড়তে সাহায্য করেছে। যদি কোনো কারণে তাঁরা মনে করেন তাঁদের দাবি পূরণ হয়নি, তাহলে যেকোন মুহূর্তে তাঁরা সরকার ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন। তবে হরিয়ানায় সংগঠন বাড়ানোর দিকে এবার নজর দেওয়া উচিত বিজেপির।

অন্যদিকে জেজেপি নেতার বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছে বিরোধী শিবির। নির্বাচনের আগে জেজেপি নেতা বিজেপি বিরোধিতায় ভোট প্রচার চালিয়েছেন। সেখানে মানুষ বিজেপির বিরোধিতা করার জন্যই বিজেপি নেতা দুষ্মন্ত চৌতালাকে ভোট দিয়েছিলেন। এখন বিজেপির সাথে জোট করায় তাঁরা মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছেন বলে দাবি বিরোধীদের। আপাতত সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!