এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জল্পনা বাড়িয়ে কলকাতা পুরসভার বিশেষ প্রকল্পের অনুসরনের সিদ্ধান্ত এবার ত্রিপুরা প্রশাসনের

জল্পনা বাড়িয়ে কলকাতা পুরসভার বিশেষ প্রকল্পের অনুসরনের সিদ্ধান্ত এবার ত্রিপুরা প্রশাসনের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনীতিগত ভাবে যখন ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে জোরদার লড়াই শুরু হয়েছে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল যখন ত্রিপুরা দখলে ব্যস্ত, দুই রাজ্যের মধ্যে যখন বড়সর রাজনৈতিক চাপানউতোরের পরিস্থিতি, ঠিক সেসময়ই কলকাতা পুরসভার এক বিশেষ পরিষেবা মূলক প্রকল্পকে অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিল ত্রিপুরা প্রশাসন। সম্প্রতি, বর্জ্য পদার্থের স্থায়ী প্রক্রিয়াকরণের জন্য ধাপাতে দুটি নতুন প্ল্যান্টের উদ্বোধন করা হলো। এ বিষয়ে জানতে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ত্রিপুরার পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। এই ধরনের পরিষেবা ত্রিপুরাতেও চালু করা যায় কিনা? সে বিষয়ে তাদের মধ্যে কথা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কলকাতার পুর এলাকার সমস্ত আবর্জনা ই এম বাইপাসের ধারে ধাপায় ফেলা হয়। গত সপ্তাহে সেখানে দুটি প্লান্ট উদ্বোধন করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি প্লান্ট স্তূপীকৃত সাধারণ বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে ব্যবহৃত হবে, অন্যটি ব্যবহার করা হবে প্লাস্টিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে। প্রক্রিয়াকরণ করে যাতে বর্জ্য পদার্থের পুনর্ব্যবহার করা যায়, তার ব্যবস্থা করতেই এই দুটি প্লান্ট বসানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, বর্জ্য পদার্থকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে, তা থেকে বিভিন্ন সামগ্রী প্রস্তুত করা যাবে, এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে। কলকাতা পুরসভার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে ত্রিপুরা প্রশাসন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ধাপায় সদ্য উদ্বোধন করা দুটি প্লান্ট এর বিষয়ে জানতে ত্রিপুরার পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর কলকাতা পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করে। ত্রিপুরাতেও এই ধরনের প্লান্ট চালু করা যায় কিনা? সে ব্যাপারে তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য তথা জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন যে, বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ প্লান্ট উদ্বোধন হবার পর ত্রিপুরার পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর থেকে ফোন করা হয়েছিল। যে পদ্ধতিতে তাঁরা বর্জ্য পদার্থের প্রক্রিয়াকরণের কাজ শুরু করেছেন, ত্রিপুরাও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করতে ইচ্ছুক। প্রাথমিকভাবে ত্রিপুরা প্রশাসনের কাছে তাঁরা রিপোর্ট পাঠিয়েছেন।

আবার, ত্রিপুরার পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের অধীনস্থ সংস্থা স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার সৌপায়ন সাঁতরা কলকাতা পুরসভার কাছে ইমেল করে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, ভারত সরকারের লক্ষ্য হলো প্লাস্টিক মুক্ত দেশ গড়ে তোলা। জমে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করে তুলতে ভালো কাজ করছে কলকাতা পুরসভা। তাদের কাজের বিষয়ে জানতে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে জানতে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন। পুরসভা তাঁদের প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু তথ্য পাঠিয়ে সাহায্য করেছে। আগরতলা ও অন্যান্য শহরে এই ধরণের প্রকল্প গড়ে তুলতে ইচ্ছুক তাঁরা।

অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে ত্রিপুরার পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব কিরণ গেটে জানালেন যে, প্লাস্টিক বর্জ্য পদার্থ পুনঃ ব্যবহারের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য। ত্রিপুরা পরিবেশ রক্ষার উপরে জোর দিচ্ছে। এ কাজে কলকাতা পুরসভার দেখানো পথ তাঁদের কাজে লাগবে। এভাবেই, দুই রাজ্যের মধ্যে যখন রাজনৈতিক চাপান-উতোর বাড়তে শুরু করেছে, ঠিক তখনই কলকাতা পুরসভার উদ্যোগকে সমর্থন ও তাদের প্রকল্পের অনুসরণ করতে চাইল ত্রিপুরার প্রশাসন। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই, ওয়াকিবহাল মহলের দাবি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!