প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন বন্দীদশা কাটানোর পর আবারও পথে নেমে পড়েছেন ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা হাইকোর্টে সদ্যই অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত হয়েছেন তিনি। জামিন পেতেই সময় নষ্ট না করে কাজ শুরু করে দিলেন কলকাতার পুর চেয়ারম্যান ববি হাকিম। কলকাতা হাইকোর্টের গৃহবন্দি নির্দেশ পাওয়ার পর বাড়িতে বসেই ভার্চুয়ালি পুরসভার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন এতদিন নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রসঙ্গত একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে পুরসভার প্রশাসনিক পদ থেকে সরে দাঁড়ান ফিরহাদ হাকিম।

এর পর নির্বাচনে জেতার অব্যবহিত পরেই ফিরহাদ হাকিম দায়িত্বে ফেরেন কলকাতা পুরসভার। গত 17 ই মে সিবিআই এর হাতে থাকা বহু পুরনো নারদ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার হন ফিরহাদ হাকিম। বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ওইদিনই তাঁর আশ্রয় হয় প্রেসিডেন্সি জেলে, সেখানে তাকে দু দিন কাটাতে হয়। তারপর হাইকোর্ট গৃহবন্দির নির্দেশ পাওয়ামাত্রই তিনি বাড়ির পথ ধরেন। আর এবার জামিনের নির্দেশ আসায় কলকাতার রাজপথে আবার আগের মতন ফিরহাদ হাকিম। গতকাল তিনি 76 নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন।

হাইড রোড থেকে তারাতলা পর্যন্ত রাস্তায় পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গিয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে কোথাও কোন বড়োসড়ো ক্ষতি হয়েছে কিনা সেই হিসাব অনস্পট নিয়েছেন ববি হাকিম। আজকে টক টু কেএমসি অনুষ্ঠানেও ফিরহাদ হাকিমকে পাওয়া যায়। 17 ই মে থেকে এই অনুষ্ঠান বন্ধ হয়েছিল। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে অন্যান্য বন্দি নেতারাও মুক্তি পেয়েছেন। তাঁরাও নিজেদের কাজে ফিরে গিয়েছেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে সিবিআই এর বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই অভিযোগ করা হয়েছে এই গ্রেপ্তারির পেছনে গেরুয়া শিবিরের ষড়যন্ত্র কাজ করছে।

তবে জামিনে মুক্ত হলেও অভিযুক্ত নেতাদের বেশ কিছু শর্ত মেনে মুক্ত হতে হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো মামলা নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো সাক্ষাৎকার দেওয়া যাবে না এবং মিডিয়ার সাথে কথা বলা যাবেনা। আগামী সোমবার নারদ মামলার শুনানি আবার হতে চলেছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে কলকাতার বুকে পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের কাজ যথেষ্ট প্রশংসনীয়। তবে নজর এখন নারদ মামলায় আগামী শুনানির দিকে।