এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জম্মু কাশ্মীর নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা, এবার রাজ্যপাল ও অধীরের বাকযুদ্ধে শোরগোল রাজ্যজুড়ে

জম্মু কাশ্মীর নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা, এবার রাজ্যপাল ও অধীরের বাকযুদ্ধে শোরগোল রাজ্যজুড়ে


জম্মু কাশ্মীর নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমগ্র দেশের অনেকেই কাশ্মীর সংক্রান্ত কেন্দ্র সরকারের নীতিকে প্রশংসা করলেও দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ ভারতীয় জনতা পার্টিকে সমর্থন করতে পারেনি জাতীয় কংগ্রেস।

তাই যে কোনও বিষয় নিয়েই কেন্দ্রের শাসন ক্ষমতায় আসীন ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের বাকবিতন্ডতা নতুন কিছু নয়। কিন্তু রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে সৌজন্য এবং তার থেকে ঊর্ধ্বে সাংবিধানিক পদের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন। কিন্তু জম্বু কাশ্মীরের রাজ্যপালের সঙ্গে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী মন্তব্য পাল্টা মন্তব্যকে ঘিরে রীতিমতো আলোড়ন পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।

অধীর বাবু অভিযোগ করেন, জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল বিজেপি সভাপতি মত কাজ করছেন। তার ভাষা ও বিজেপির ভাষা এক। তাই ওকে যদি কাশ্মীর উপত্যকায় বিজেপি সভাপতি নিয়োগ করা হয়, তাহলে কোনো সমস্যাই থাকবে না। আর রাজ্যপাল সম্পর্কে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতার এই মন্তব্য এখন তীব্র গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে।

তবে লোকসভায় দাঁড়িয়ে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে নিজের হাতে কংগ্রেসকে সমাধিস্থ করেছে বলে অধীরবাবুকে কটাক্ষ করেছেন জম্বু কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল। যদিও কংগ্রেস জম্বু কাশ্মীর নিয়ে সরকারের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে অনেক আগে থেকেই দাঁড়িয়ে শুরু থেকেই জম্মু-কাশ্মীর বিষয়ে কংগ্রেসের মতামত বিশেষ মর্যাদা এবং বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

চলতি মাসের শুরুতে লোকসভায় অধীর বলেন, নিয়ম ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর ভাগ করা হচ্ছে। সিমলা চুক্তি, লাহোর চুক্তির শর্ত কিভাবে একটা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হয়ে দাঁড়াল! 1948 সাল থেকেই বিষয়টি রাষ্ট্রপুঞ্জে রয়েছে। জম্বু কাশ্মীর নিয়ে এত বড় একটা পদক্ষেপের পেছনে কি প্রক্রিয়া ও কি নিয়ম মানা হচ্ছে! তা জানতেপাল মালিক।

সংবাদ সংস্থা এএনআই কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ব চায় কংগ্রেস। আর লোকসভার দলনেতা আর অধীরবাবুর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই সোমবার তাকে কটাক্ষ করেন সত্যলেন, সংসদে দাঁড়িয়ে উনি যে মন্তব্য করেছেন, তাতে নিজের হাতেই দলকে সমাধিস্থ করেছেন। এরপর আর ওকে নিয়ে কি বলব! একনিষ্ঠভাবে নিজের কাজ করে যাচ্ছি। কে কি বলল তাতে এসে যায় না। আর এতেই তীব্র বিতর্ক সূচনা হয়েছে।

শনিবার যেদিন বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে কাশ্মীরে যেতে চান কংগ্রেসের পূর্ব অধ্যক্ষ রাহুল গান্ধী সহ বিরোধী নেতারা, কিন্তু উপত্যাকায় তাদের পা রাখতে দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। শেষমেষ তাদেরকে বিমানে করেই ফিরে আসতে হয়। যা নিয়ে রীতিমত বিরোধীদের বাধার মুখে পড়তে হয় জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে। অনেকে অভিযোগ করেন, ইচ্ছে করেই জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।

অনেকে প্রশ্ন করেন, সারা দেশকে বলা হচ্ছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি অত্যন্ত স্বাভাবিক। তবে কেন কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না! প্রতুত্তরে সত্যপাল বলেন, গোলাম নবী আজাদের সময় এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় প্রথম সপ্তাহেই প্রাণহানি ঘটেছিল। এবার অন্তত তা হয়নি। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ পরিমানে বন্ধ করাতেই এই অসম্ভব সম্ভব হয়েছে।

আর এতে করে যদি মানুষের প্রাণ বাঁচে, তাতে ক্ষতি কি বলে প্রশ্ন করেন কাশ্মীরের রাজ্যপাল। আর এই মন্তব্যেই চটে যান কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীরবাবু। তিনি বলেন, রাজ্যপালের মুখে এই মন্তব্য শোভা পায় না। বিজেপি নেতাদের মতো করে কেন কথা বলছেন উনি! তারচেয়ে বরং জম্মু-কাশ্মীরের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করা হোক।

যদিও এই মন্তব্যের পর অধীর বাবুকে পুনরায় কটাক্ষ করেন জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। তবে কাশ্মীর ইস্যুতে যেখানে আসমুদ্রহিমাচল জনতার মধ্যে মোদির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হচ্ছে, তখন কংগ্রেসের এই রক্ষণশীল মনোভাব জনগণ কেমন চোখে দেখবে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!