এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জঙ্গলমহলে বড় ধাক্কা শাসকদলে, একরাশ ক্ষোভ উগরে দল ছাড়লেন শীর্ষনেতা

জঙ্গলমহলে বড় ধাক্কা শাসকদলে, একরাশ ক্ষোভ উগরে দল ছাড়লেন শীর্ষনেতা


পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই জঙ্গলমহল নিয়ে আশঙ্কার কালো মেঘ যেন তাড়া করে বেড়াচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। সারা রাজ্য জুড়ে দাপটের সঙ্গে ঘাসফুলের জয়পতাকা উড়লেও, কোথাও গিয়ে যেন জঙ্গলমহলের মাটিতে তা মুখ থুবড়ে পড়েছিল। আর তা আরো বেশি শাসকদলের পীড়ার কারণ হয়েছিল কারণ মুখ্যমন্ত্রীর নিজের ধারণা জঙ্গলমহল জুড়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বাম আমলের শেষের দিকের হানাহানি থামিয়ে তিনি সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও জঙ্গলমহলবাসী এইভাবে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় তা রীতিমত বিস্ময়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আর তাই জঙ্গলমহলের ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ তিনি আসরে নামিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় – একের পর এক আস্থাভাজনকে। এমনকি মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতোকে বরখাস্ত করে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রক ফিরিয়ে এনেছেন নিজের কাছে।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু এত করেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না জঙ্গলমহলে। আজ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের উপর একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছাড়লেন বাঁকুড়া জেলার (খাতড়া) কার্যকরী সভাপতি তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও শাসকদলের জঙ্গলমহলের হেভিওয়েট নেতা বেনু সরকার। আজ দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের গনতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদে ধর্না মঞ্চে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম পুলিশকে ব্যবহার করে ভয় দেখিয়ে ও চাপ সৃষ্টি করে আমাদের সমর্থকদের তৃণমূল কংগ্রেস জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে নিজেদের সমর্থক বলে দেখানোর যত চেষ্টা করছে, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তত বেশি করে আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। আমার কাছে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের নেতাদের লম্বা লাইন লেগে গেছে, আগে আগে দেখুন আরো কত উইকেট পরে তৃণমূলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!