প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের শক্ত মাটিতে ঘাসফুলকে সরিয়ে পদ্মফুল ফোটাতে অনেকটাই সক্ষম হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। 2011 সালের পর যে জঙ্গলমহল তৃণমূলের হাতের মুঠোয় ছিল, এখন সেখানে ধীরে ধীরে একাধিপত্য স্থাপন করতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। তবে লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়কালে জঙ্গলমহলে বিজেপির দাপট বাড়লেও, এখন ধীরে ধীরে সেখানে গেরুয়া শিবিরের সংগঠনের ক্রমশ অবনতি দেখা যাচ্ছে।

জানা গেছে, লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়কালে তৃণমূল ছেড়ে যে সমস্ত কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তারা আবার এখন তাদের প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসতে শুরু করেছেন। সূত্রের খবর, এদিন পুরুলিয়া জেলায় বিজেপি এবং কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে 45 টি পরিবার। যাদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ডাকে সাড়া দিয়েই এই সমস্ত কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। স্বাভাবিক ভাবেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে যখন জঙ্গলমহলের বিজেপি নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগী, তখন বিরোধী দল থেকে বিপুল কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় শাসকদল যে অনেকটাই উজ্জীবিত হল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

তাহলে কি ক্রমশ জঙ্গলমহলে বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হচ্ছে সাধারণ মানুষ? আর তাই লোকসভায় বিজেপির ভালো ফল করলেও এখন জঙ্গলমহলে তাদের দল ছেড়ে শাসক দলে যোগদান করার প্রবণতা বাড়তে শুরু করেছে? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভায় পরাজিত হওয়ার পর সংগঠনকে চাঙ্গা করা সহ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে।

যার ফল পাচ্ছে শাসক দল। আর তাই এখন বিজেপিকে কুপোকাত করে বিরোধীদের ঘর ভাঙিয়ে নিজেদের সংগঠনকে মজবুত করতে উদ্যোগী ঘাসফুল শিবির। তবে তৃণমূলে এখন ব্যাপক কর্মী-সমর্থক যোগদান করলেও, ভোট বাক্সে এর ফসল কতটা নিজেদের ঘরে তুলতে পারে শাসক দল, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।