এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ‘মুখ’ ছত্রধর মাহাতো এবার বিজেপিকে দিতে চলেছে মাস্টারস্ট্রোক, জল্পনা তুঙ্গে

জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ‘মুখ’ ছত্রধর মাহাতো এবার বিজেপিকে দিতে চলেছে মাস্টারস্ট্রোক, জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  জঙ্গলমহলের একসময়কার বেতাজ বাদশা সম্প্রতি তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে। জঙ্গলমহলের তৃণমূলের মুখ ছত্রধর মাহাতো। এবার জঙ্গলমহলে বিজেপিকে মাত করে দিতে এক বিশেষ পরিকল্পনা ছত্রধর মাহাতোর। ঝাড়গ্রামে জনৈক সংখ্যালঘু যুবকের খুনের ঘটনাকে অস্ত্র করে নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে জনমত তৈরির পরিকল্পনা করেছে শাসক দল তৃণমূল। ছত্রধর মাহাতোর পরিকল্পনা অনুযায়ী সংখ্যালঘু যুবকের মৃত্যুকে সামনে রেখে জঙ্গলমহলে বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানানোর আয়োজন করছে শাসক দল তৃণমূল।

গত, ৮ ই ডিসেম্বর রাধানগর গ্রামের এক যুবক শেখ তকবির আলি ঝাড়গাম শহরে ক্রিকেট খেলা দেখতে এসেছিলেন। শহরে এসে খুন হয়েছেন তিনি। তাঁর হত্যার মূল অভিযুক্ত হলেন ঝাড়গাম শহরের জমি মাফিয়া বিশ্বজিৎ প্রধান। যিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের এক এনভিএফ কর্মী। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ প্রধান ছাড়াও আরও দুই সন্দেহ ভাজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের কারনে খুন হয়েছেন শেখ তকবির আলি। যিনি বিশ্বজিৎ প্রধানের পুরনো সঙ্গী ছিলেন। বিশ্বজিৎ প্রধান ও তার পরিবার তৃণমূল সমর্থক হিসেবে এলাকায় পরিচিত হলেও, ছত্রধর মাহাতো দাবি করেছেন যে, বিশ্বজিৎ প্রধান গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে জড়িত আছেন।

এরপর, গত ১০ ই ডিসেম্বর মৃত শেখ তকবির আলির বাড়িতে গিয়েছিলেন ছত্রধর মাহাতো। সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেছেন যে তৃণমূল কর্মী শেখ তকবির আলি খুন হয়েছেন বিজেপির ষড়যন্ত্রে। এরপর গত শনিবার জেলা তৃণমূলের জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি দুর্গেশ মল্লদেব ও তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা-কর্মীরা শেখ তকবির আলির পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এই অভিযোগ করে এসেছেন। এবার, শেখ তকবির আলির হত্যাকে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারের মূল অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে তৃণমূল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবার রাধানগর গ্রাম থেকে শুরু করে ঝাড়গ্রাম শহর পর্যন্ত ছত্রধরের নেতৃত্বে এক বিরাট মোমবাতি মিছিলের পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ও তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের একাধিক নেতাকর্মী এই মিছিলে উপস্থিত থাকবেন। আগামী ১৬ ই ডিসেম্বর মিছিলের দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে দেখা গেল, আগামী ১৫ ই বা ১৬ ই ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামে দলের সভা করতে পারেন। এই কারণে মিছিলের দিনক্ষণ পরিবর্তিত হতে পারে। ঝাড়গ্রামের সংখ্যালঘু তৃণমূল নেতা শেখ আব্দুল কাদির বুলেট জানিয়েছেন যে, রাজ্য সম্পাদকের নেতৃত্বে কয়েকদিনের বিরাট মধ্যেই মিছিল করা হবে। সেদিন জঙ্গলমহল থেকে বিজেপিকে উৎখাতের ডাক দেবেন ছত্রধর মাহাতো।

অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে ছত্রধর মাহাতো জানালেন, ‘‘ পুলিশ পুলিশের মতো তদন্ত করছে। কিন্তু আমাদের কাছে খবর, বিজেপি-র ইন্ধনেই সক্রিয় তৃণমূল কর্মী তকবিরকে খুন করা হয়েছে। জঙ্গলমহলে শান্তিরক্ষার ডাক দিয়ে পথে নামছি। তকবিরের গ্রাম থেকে ঝাড়গ্রাম শহর পর্যন্ত হাজার-হাজার মানুষের প্রতিবাদ মিছিল হবে। ’’ আবার, ঝাড়গাম জেলা বিজেপি সভাপতি সুখময় শতপথী এ প্রসঙ্গে বলেছেন যে, জমিজমা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে খুন হয়েছেন শেখ তকবির আলি। আর বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে জঙ্গলমহলে অশান্তি ও সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য তৃণমূল দায়িত্ব দিয়েছে ছত্রধরকে। তিনি দাবি করেছেন যে, এই মিথ্যাচারের জবাব দেবেন মানুষ।

অন্যদিকে ঝাড়গ্রামে এসে বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ একাধিকবার নিশানা করেছিলেন ছত্রধর মাহাতোকে। তিনি বেলিয়াবেড়ার জনসভায় তৃণমূলকে উৎখাত করে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এবার এর পাল্টা হিসেবে বিজেপির বিরুদ্ধে নামতে চলেছেন ছত্রধর, এমনটাই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!