জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ঘুম ছুটিয়ে কি কারণে বাড়ছে বিজেপি? রাজ্য May 18, 2018 জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ঘুম ছুটিয়ে কি কারণে বাড়ছে বিজেপি? জেনে নেওয়া যাক। এখনও পর্যন্ত নির্বাচনের যা ফলাফল সেই অনুযায়ী পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে বিজেপির হঠাৎ করে উত্থান নিয়ে বেশ চিন্তিত রাজ্যের শাসকদল। পুরুলিয়ায় গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল জিতেছে ৫০১ টি আসনে ও বিজেপির ঝুলিতে গেছে ৩০৭ টি আসন। এদিকে ৩৪ টি পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে গেছে এবং ত্রিশঙ্কু হয়েছে ১৭ টি আসন। বিজেপির হঠাৎ এই উত্থানের পেছনে বিশ্লেষণ দেওয়া হয়েছে – প্রথমত, তৃণমূল নেতাদের দাদাগিরি ও আত্মবিশ্বাস এবং জনসংযোগের অভাব। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে সতর্ক বার্তা দিলেও তা কোনো পভাবেই ফলপ্রসূ হয় নি। দ্বিতীয়ত, তৃণমূল নেতাদের ঔদ্ধত্বের ফল হিসাবে জঙ্গলমহলের ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে নির্বাচনের ফলাফলে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে তৃতীয়ত, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের নিজেদের লোকদের কাজ পাইয়ে দেওয়া ও নানা রকম আর্থিক দুর্নীতির ফল হাতেনাতে পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। চতুর্থত, জঙ্গলমহলের বোরো রাস্তা গুলি পাকা হলেও গ্রামের রাস্তা গুলির কোনো সংস্কার হয় নি। ২ টাকা কেজি চাল দেওয়া হলেও মেটেনি অন্যান্য দাবি। ক্লাবগুলিকে টাকা প্রদান জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা উন্নয়নের খাতায় ফেলেনি বলে জানিয়েছে। পঞ্চমত, একসময়ের দাপুটে তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগদান ভোটবাক্সে বিজেপিকে ভালোই সহায়তা করেছে। মুকুল রায় ও বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ নির্বাচনের ঠিক আগে জঙ্গলমহল টহল দিয়ে বেড়িয়েছেন। মুকুল রায় গিয়েছেন ছত্রধরের বাড়িতে। এছাড়া ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় নেতাদের সাথে প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া বৈঠক ও পরে ছোট ছোট জনসভা করেছেন তিনি। তৃণমূলে থাকা অবস্থায় জঙ্গলমহলের দায়িত্বে ছিলেন মুকুল রায়। পরে এই দায়িত্বে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনেই কিছুটা হলেও ডুবেছে ঘাসফুল শিবির। লোকসভা নির্বাচনের আগে কাঠামো শক্ত না করলে পুরোপুরিভাবেই তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তৃণমূলের। আপনার মতামত জানান -