এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > জঙ্গলমহলের হাসি ফিরিয়ে আনতে ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী, বিপুল জনসমাগমের আশায় শাসকদল

জঙ্গলমহলের হাসি ফিরিয়ে আনতে ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী, বিপুল জনসমাগমের আশায় শাসকদল

ধান কাটার মরশুমেই জঙ্গলমহল পাড়ি দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের শক্তিশিবির হিসাবে পরিচিত এই অঞ্চলে এবার বিজেপির উত্থান যথেষ্ট চাপে ফেলেছে শাসকদলকে। তাই আসন্ন লোকসভা ভোটে পুরানো গৌরব ফিরে পেতে জনসংযোগ বাড়ানোর উদ্যোগেই ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক সভায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেত্রী।

চলতি মাসের ২৬ তারিখ ঝাড়গ্রাম আসার কথা তাঁর। বেলা ২ টো নাগাদ প্রশাসনিক সভায় যোগ দেবেন তিনি। জনস্বার্থমুখী বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করার পাশাপাশি রাজ্যসরকারের তরফে নানা পরিষেবাও তুলে ধরবেন নেত্রী।

এরপর দুপুর ৪ টে নাগাদ প্রশাসনিক বৈঠকে বসবেন তিনি। প্রথমে জামবনী বাণী বিদ্যাপীঠ স্কুল সংলগ্ন হাইস্কুল মাঠে সভা হওয়ার কথা থাকলেও পরে স্থান পরিবর্তন করা হয়। সম্প্রতি কাপগাড়ি কলেহ মাঠ এবং পড়িহাটি মাঠ পরিদর্শন করেছেন জেলাশাসক আয়েষা রাণী,মহাকুমা শাসক সুবর্ণ রায় সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

তবে এখনো প্রশাসনিক বৈঠক কোথায় হবে সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়নি। জেলাশাসকের অফিসে বা পুলি সুপারের অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,এমনটাই জানা গিয়েছে প্রশাসনিক সূত্রের খবরে।

গত ৯ আগষ্ট ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবস এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে তৃণমূলের তরফ যে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিলো,তাতে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে কাতারে কাতারে মানুষের সমাগম হয়েছিল। এবারের সভাতেও রেকর্ড পরিমান মানুষ জমায়েত করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় ৫০ হাজার লোক জমায়েত করার টার্গেট করা হয়েছে। জামবনী থেকে আট-দশ হাজার এবং বাকি ব্লকগুলো থেকে কমপক্ষে ৫০০০ করে লোক আনার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে সভাপতিদের। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার প্রস্তুতি সংক্রান্ত কোর কমিটির একটি বৈঠক হয়ে গেল এদিন জেলার নতুন পার্টি অফিসে।

বৈঠক সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, দূরের ব্লকগুলো থেকে মানুষ আনার জন্য ৭০ থেকে ৮০ টি করে বাস দেওয়া হবে। আর কাছের গুলো থেকে আনার জন্যে ৫০ টি করে বাস দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই প্রশাসন জেলা বাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার আ্যসোসিয়েশনের কাছে প্রশাসন ৭০০ টি বাস চেয়ে রেখেছে। ঝাড়গ্রাম জেলায় মাত্র ২২০ টি বেসরকারি বাস রয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সভা উপলক্ষ্যে আশেপাশের জেলা গুলো থেকে বাস নিয়ে আসার পরিকল্পনা প্রশাসনের। পূর্ব মেদিনীপুর,পশ্চিম মেদিনীপুর,বাঁকুড়া,পুরুলিয়া থেকে কিছু বাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানালেন ঝাড়গ্রাম জেলা বাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার আ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ পাল।

প্রশাসনিক সূত্র থেকে আরো জানা গিয়েছে, সভার দিন ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি সংলগ্ন ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে রাত্রিযাপন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরের দিন অর্থাৎ ২৭ নভেম্বর হেলিকপ্টারে ঝাড়গ্রাম থেকে পুরুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সভাকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার আয়োজন করা হচ্ছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

যেহেতু ধান কাটার মরশুম চলছে তাই বেশিরভাগ লোকই কাজের সূত্রে বাইরের জেলায় রয়েছেন। তবুও লোক জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার চেষ্টায় করা হচ্ছে,এমনটাই জানালেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় রেকর্ড পরিমান লোক জমায়েত করার জন্যে ব্লকে ব্লকে, অঞ্চলে অঞ্চলে প্রস্তুতি মিটিং করা হচ্ছে বলেও জানালেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!