জঙ্গলমহল দেখিয়ে মালদায় আস্থা রাখার অনুরোধ শুভেন্দুর, অথচ জঙ্গলমহলেই বড় ধাক্কা! পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য April 22, 2019 রাত পোহালেই তৃতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন। যেখানে অন্যান্য আসনের সাথে মালদহের দুটি লোকসভা আসন উত্তর ও দক্ষিণ মালদহের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই প্রচারেই মালদায় এসে মালদহ জেলার দুটি লোকসভা আসন উত্তর ও দক্ষিণ মালদহকে পাখির চোখ করে তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে ভোট চাইলেন মালদহ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “আমি শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের মন্ত্রী। আপনারা আমাকে দেখে, দিদিকে দেখে মৌসম বেনজির নূরকে ভোট দিয়ে জেতান। তৃণমূল যদি এখানে উন্নয়ন করতে না পারে, তাহলে বিধানসভায় ভোট চাইতে আসব না। নন্দীগ্রামের লোক আমাকে বিশ্বাস করে ঠকেনি, জঙ্গলমহলের লোকও ঠকেনি। আমি ইংলিশবাজারের বাসিন্দাদের বলব আমাকে বিশ্বাস করুন। আমি ঠকাবো না।” আর এই কথার ২৪ ঘন্টা পার হতে না হতেই নির্বাচনের আগে ফের একবার দল পরিবর্তনের চিত্র উঠে এল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতায়। এদিন তৃণমূল দল ছেড়ে ৪০ জন নেতা ১৫০ জন কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়ে রবিবার গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক ছিল আর সেখানেই এনারা যোগ দেন বিজেপিতে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কণার হেমব্রম,জেলা বিজেপি সভাপতি সমিত কুমার দাস সহ জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে আর দ্বিতীয় দফা ভোট নেওয়া সম্পন্ন। আর আগামী কাল তৃতীয় দফার ভোট। আর তার আগেই গড়বেতায় বিজেপিতে যোগদান জেলায় গেরুয়া শিবিরের মাটি কিছুটা হলেও শক্ত করলো বলে দাবি বিজেপির। এদিকে খাস শুভেন্দু গড়ে এহেন বিজেপির হানা দেওয়ায় ঘটনায় কিছুটা হলেও প্রশ্ন ফেলেছে রাজনৈতিকমহলে। কেননা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি অনুযায়ী “নন্দীগ্রামের লোক আমাকে বিশ্বাস করে ঠকেনি, জঙ্গলমহলের লোকও ঠকেনি।” আর এখানেই তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন যে তবে তাদের দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিতে হচ্ছে কেন? যদিও এই নিয়ে তৃণমূলের দাবি যারা গেছে তারা কেউ তৃণমূল নয়, বিজেপির লোককেই ফের তৃণমূল সাজিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ান হয়েছে। সবই বিজেপির অপপ্রচার। অন্যদিকে বিজেপি আবার দাবি করেছে যে ২৩ সে মে এর পর আর এই দলটা থাকবে না।ফলে সব মিলিয়ে জমজমাট লোকসভা ভোট। আপনার মতামত জানান -