এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > জঙ্গলমহল তো হাসছিলো! হঠাৎ কি হল? দোরে দোরে ঘুরে সমীক্ষা সিভিক ভলান্টিয়ারদের

জঙ্গলমহল তো হাসছিলো! হঠাৎ কি হল? দোরে দোরে ঘুরে সমীক্ষা সিভিক ভলান্টিয়ারদের


জঙ্গলমহল তো হাসছিলো! হঠাৎ কি হল? দোরে দোরে ঘুরে সমীক্ষা সিভিক ভলান্টিয়ারদের, দেখে নেওয়া যাক। পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটতে না মিটতেই জঙ্গলমহলের গোপীবল্লভপুর, সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম, ঝাড়গ্রাম থানা এলাকায় সমীক্ষা শুরু করেছে সিভিক ভলান্টিয়াররা। বাড়ি বাড়ি ঘুরে তারা প্রশ্ন করছে দু’টাকা কেজি চাল পাচ্ছেন কিনা,পরিবারের স্কুল পড়ুয়ারা সবুজ সাথীর সাইকেল পেয়েছে কিনা, আর সরকারি প্রকল্পে বাড়ি মিলেছে কিনা, সরকারি সাহায্যের জন্য কোনো টাকা ব্যয় করতে হয়েছে কিনা। যাবতীয় তথ্য তারা লিখে রাখছে খাতায়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

যদিও এবিষয়ে মুখ খোলেন নি ঝাড়গ্রামের জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর ও জেলাশাসক আর অর্জুন। এদিকে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিক পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনে’র রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় পড়িয়া জানিয়েছেন, ”মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই আজ এত বেকার যুবক সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ পেয়েছেন। তাঁরা সরকার ও প্রশাসনের অঙ্গ। ফলে, সরকার ও প্রশাসনের তরফে তাঁরা সমীক্ষা করতেই পারেন।” পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়গ্রামে জেলা পরিষদ ও ৮ টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৬ টি আসনে জিতেছে তৃণমূল। গেরুয়া শিবিরের তুলনামূলক ভালো  ফল চিন্তার ছাপ ফেলেছে তৃণমূলের কপালে। আর তাই জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের ক্ষোভের কারণ খুঁজতেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের এই নতুন পন্থা গ্রহণ। সাঁকরাইলের নয়াগাঁর বাসিন্দা সাবিত্রী সিংহের কথায়, “সিভিকরা জেনে গিয়েছেন, বাড়ির সদস্যরা সরকারি প্রকল্পের কোন কোন সুযোগ পেয়েছেন।” এদিকে বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষের অভিযোগ, “সিভিকদের হাতে লাঠি ধরিয়ে প্রথমে ভোট লুট করল তৃণমূল। এখন তাদের দিয়ে সমীক্ষা করাচ্ছে। এতেও রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে।” বিরোধীদের অভিযোগ ঠিক যে জায়গাগুলিতে তৃণমূল হেরেছে সেখানেই কেবলমাত্র সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বিষয়টিকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, ”সর্বত্র সমান ভাবে উন্নয়ন পৌঁছেছে কি না, তার খোঁজ নিতেই এই উদ্যোগ।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!