এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > জঙ্গলমহলে কি ফের সক্রিয় হচ্ছে মাওবাদীরা? পোস্টার ঘিরে জোর শোরগোল

জঙ্গলমহলে কি ফের সক্রিয় হচ্ছে মাওবাদীরা? পোস্টার ঘিরে জোর শোরগোল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –দীর্ঘদিন মাওবাদী উপদ্রব বন্ধ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই জঙ্গলমহলে মাওবাদী পোস্টার পড়াকে কেন্দ্র করে এবার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। 2011 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই জঙ্গলমহলে মাওবাদী উপদ্রব থেকে অনেকটাই কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। যার পর থেকে কার্যত শান্ত হয়ে গিয়েছিল জঙ্গলমহল। কিন্তু আবার নতুন করে সেই পোস্টারকে কেন্দ্র করে জঙ্গলমহলে মাওবাদী উপদ্রবের আশঙ্কা করছেন একাংশ।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে জামবনি থানার বালিজুরি গ্রামে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি মাওবাদী পোস্টার পড়তে দেখা যায়। যেখানে পোস্টারে লাল কালিতে লেখা রয়েছে, “কাপগারি অঞ্চলের চোরেদের খতম তালিকা। এক) প্রধান এবং দুই) ইঞ্জিনিয়ার।” অন্যদিকে আরও একটি পোস্টারে লেখা রয়েছে, “মাওবাদী আছে। সারা জীবন থাকবে।” আর তার নিচে রয়েছে, সিপিআই (মাওবাদী)। সামনেই শারদোৎসব। আর তার আগে এইভাবে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে মাওবাদী পোস্টার রীতিমত এলাকার পরিবেশকে আতঙ্কগ্রস্থ করে তুলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

তবে এই প্রথম নয়, সাম্প্রতিককালে বেশকিছু ঘটনায় সেই জঙ্গলমহলে মাওবাদী উপদ্রব তৈরি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বস্তুত, গত 15 আগস্ট বেলপাহাড়ীর বাকশোল এবং শলাতল সহ একাধিক গ্রামে সিপিআই মাওবাদী নামাঙ্কিত বেশ কিছু পোস্টার উদ্ধার করা হয়। যেখানে 15 আগস্টকে কালা দিবস পালনের আর্জি জানানো হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরবর্তীতে বেলপাহাড়ি থানা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে এক কন্ট্রাক্টরকে কাজ বন্ধ করার হুমকি দিয়ে মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার দেওয়া হয়। একইভাবে বেলপাহাড়ি ঢাঙ্গিকুসুমে বেশ কয়েকজন পর্যটক বেড়াতে গেলে তাদের ওপর 7 জন সশস্ত্র মাওবাদী হামলা চালায় বলেও অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার মাওবাদীদের নাম করে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল। কিন্তু এখন থেকেই যদি এই মাওবাদীদের উপদ্রব বন্ধ না করা যায়, তাহলে তো ভবিষ্যৎ আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠবে!

এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলার উচ্চপদস্থ এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “এইগুলো মাওবাদীদের দেওয়া পোস্টার নয়। স্থানীয় কিছু মানুষ এরকম পোস্টার দিয়ে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।” একাংশ বলছেন, গত 7 অক্টোবর ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কিছু মানুষ টাকার বান্ডিল নিয়ে এলাকায় ঢুকে মাওবাদীদের ঢুকিয়ে দিয়ে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।” আর তারপরেই মাওবাদীদের নাম করে এই পোস্টার পড়াকে কেন্দ্র করে নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। সব মিলিয়ে এবার পুলিশি তদন্তে এই ব্যাপারে ঠিক কি উঠে আসে, কোনদিকে এগোয় গোটা পরিস্থিতি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!