এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ভোটের জন্য তৃণমূল মাওবাদী আর ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলোকে মদত দিচ্ছে? বেনজির আক্রমন দিলীপের

ভোটের জন্য তৃণমূল মাওবাদী আর ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলোকে মদত দিচ্ছে? বেনজির আক্রমন দিলীপের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শনিবার, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা NIA এর তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয় যে, পাক মদতপুষ্ট, আল কায়দা জঙ্গী সংগঠনের ৯ জন সদস্য তাদের হাতে ধরা পড়েছে কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে। এদের মধ্যে ৬ জন ধরা পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এবং বাকি ৩ জন কেরালা থেকে। NIA সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, এই জঙ্গীরা, দিল্লি সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বড়সর নাশকতার ছক কষেছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে, সোচ্চার হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল গুলি। রাজ্যে জঙ্গী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাওয়ায়, রাজ্য সরকারকেই দায়ী করল, রাজ্য বিজেপির সভাপতি, দিলীপ ঘোষ।

এই বিষয়ে তিনি বলেন, রাজ্যের পুলিশ সাধারণ মানুষকে বিজেপি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করলেও, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। এ ব্যাপারে তিনি আরও জানিয়েছেন যে, তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে, মাওবাদী এবং ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন বাড়িয়ে তুলেছে এবং এদের কাজে লাগিয়েই তৃণমূল ভোট জেতার চেষ্টা করছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ এনে তিনি বলেছেন, তৃণমূল CAA বিল পাশের বিরোধিতা করেছে এবং বহু বিজেপি নেতাদের খুন করানো হচ্ছে। রাজ্যের জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য তিনি রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জন্য সারা ভারত অসুরক্ষিত হয় যাচ্ছে বলেও দাবি তাঁর। তবে এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সরকার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার বদলে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলেই তিনি মনে করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শুধু যে গেরুয়া শিবির এব্যাপারে সরব হয়েছে তাই নয়, রাজ্যের কংগ্রেস দলও এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি রাজ্যের সরকারকে আক্রমণ করে বলেছেন, বাংলাতে পুলিশি ব্যবস্থার ব্যর্থতা রয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি খাগড়াগড় বিস্ফোরণ প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, রাস্তার ধারের পাকা বাড়িতে জঙ্গিরা থাকা সত্বেও পুলিশ কিছুই জানতে পারেনি। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের নাম বারংবার জড়িয়ে পড়েছে ভারতের জঙ্গি নাশকতার সঙ্গে। আর এই জেলা বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হওয়াতে বাংলাদেশী জঙ্গি সংগঠনের জামাত উল মুজাহিদের শাখা প্রশাখা এখানে ছড়িয়ে পড়ছে যা কিনা খুবই উদ্বেগজনক। তাই রাজ্য সরকারের উচিত পদক্ষেপ নেওয়া।

কিছুদিন আগে দিলীপ ঘোষের মুখেই শোনা গিয়েছিল রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের কটাক্ষ করতে। তাদেরকে বিদ্রুপ করে তিনি বলেছিলেন তাঁরা নেতাদের তোষামোদ করছেন এবং নিজেদের পকেট ভরাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, তাদের যে সুখের দিন শেষ হতে চলেছে, বিজেপি সরকার আসলে যে তাদের অবস্থা নাজেহাল হবে, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেইসঙ্গে রাজ্যের বর্তমান শাসক দলকে রাজ্যের শাসনব্যবস্থার প্রতি চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে সম্প্রতি তাঁর এহেন মন্তব্যে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৬ জঙ্গি গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করলেও এখনো এই প্রসঙ্গে সরকারের তরফ থেকে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলেই জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!