জন্মাষ্টমীতে রাজ্যজুড়ে বড়সড় অশান্তির আশঙ্কা? সামনে এল চমকে দেওয়া গোয়েন্দা রিপোর্ট কলকাতা রাজ্য August 8, 2018 আগামী ২ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী অর্থাৎ আর মাসখানেকও বাকি নেই উৎসবের দিনটি আসার। তার আগেই এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বড়সড় অশান্তি দানা বাঁধার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে রাজ্যে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে,এ বছর গোটা রাজ্য জুড়েই জন্মাষ্টমী পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। আর এর সঙ্গেই জুড়েছে আরেকটি কর্মসূচি। এ সপ্তাহ থেকেই অসমের নাগরিকপঞ্জী প্রকাশের পথ অনুসরণ করে রাজ্যে এনআরসির দাবী তুলে সোচ্চার হয়েছে এই সংগঠন। এর জেরে রাজ্যে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে বলেই আন্দাজ করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার শাখা এসআইবি (সাবসিডিয়ারি ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চ) থেকে দিল্লির আইবি( ইনটেলিজেন্স ব্যুরো)- তে সম্প্রতি যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে তাতেই স্পষ্ট উল্লেখ আছে জন্মাষ্টমীকে কেন্দ্র করে আশঙ্কার কথা। তাঁদের রিপোর্ট থেকে জানা গেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং তাদের যুব সংগঠন বজরং দল এ রাজ্যের প্রায় দু হাজার জায়গায় মহা ধুমধামে জন্মাষ্টমী পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জন্মাষ্টমীর দিনই ঘটনাচক্রে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসও। তাই রাজ্যে বিজেপির যে সব জেলায় মজবুত সংগঠন আছে সেসব জায়গার নির্দিষ্ট সংখ্যক স্থানে এই উৎসব পালনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন,এ বছরই রামনবমী পালন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তার জেরে কিরকম সংঘর্ষের আবহ তৈরি হয়েছিল সেটা রাজ্যবাসীর অজানা নয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকদের মতে রামনবমীর থেকেই বেশি উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে জন্মাষ্টমীর পালনের দিন। কারণ এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নাগরিকপঞ্জীর দাবীতে তীব্র প্রচার। প্রচারের দামামা ইতিমধ্যেই বাজা শুরু হয়ে গেছে গতকাল থেকেই। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলা গুলোতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নাগরিক পঞ্জীর দাবীতে দফায় দফায় মিছিল করছে,সোচ্চার হচ্ছে। রাজ্যের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে লিফলেট,যার শিরোনামে লেখা,’ এনআরসি অসমে হলে,পশ্চিমবঙ্গে নয় কেন?’ তবে মুখে হাত দিয়ে বসে নেই রাজ্যের শাসকদলও। বিজেপির অনুগ্রহপুষ্ট বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এনআরসির দাবীর বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচার চালাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও। আপনার মতামত জানান -