এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সুব্রহ্মণ্যন স্বামীর জাতীয় সঙ্গীত বদলের প্রতিবাদে তৃণমূল

সুব্রহ্মণ্যন স্বামীর জাতীয় সঙ্গীত বদলের প্রতিবাদে তৃণমূল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা দখল বিজেপির পাখির চোখ সেটা আলাদা করে জলেন্দিতে হয় না। এমন পরিস্থিতিতে বাংলার কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গে NRC চালু করবে না বলেই অনুমান করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেখানে দেখেতে গেলে তাঁদের মতে, এবার বাংলায় বিজেপির জোরদার লড়াই হওয়ার সম্ভাবনাও প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা।

কিন্তু এরই মধ্যে বাংলায় বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলেই জানা গেছে। সেখানে সম্প্রতি বিজেপির সাংসদ সুব্রহ্মণ্যন স্বামী দেশের জাতীয় সংগীত বদলে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানা গেছে। আর তার জবাবও নাকি দিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।

আর সেই সাড়া পেয়ে এবার বিজেপির সাংসদ রীতিমত আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন যে আগামী ইংরাজী বছরের প্রথম মাসের ২৩ তারিখের মধ্যেই হয়তো মোদি সরকার দেশের নতুন জাতীয় সংগীতের পরিবর্তনের বিষয়টি ঘোষণা করে দেবে। সেখানে তাঁর কথা যদি ঠিক হয়, তাহলে আগামী বছরের ২৩শে জানুয়ারির পরে এদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে ‘জনগনমন অধিনায়ক’-এর পরিবর্তে ১৯৪৩-এ নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের গাওয়া ‘শুভ সুখ চ্যান’ গানটি এদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে শোনা যাবে বলেই জানা গেছে।

আর এই নিয়েই এখন তীব্র প্রতিবাদে সরব হয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। সেইসঙ্গে তৃণমূলও এই প্রতিবাদ করছে বলেই জানা গিয়েছে। এদিন তৃণমূলের তরফে সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জানান, “এখন ওরা দাবি তুলছে, রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত বাতিল করতে হবে। কারণ, তাতে সিন্ধু নদের উল্লেখ আছে।”

বস্তুত, গানটি লেখা হয়েছিল ১৯১১ সালে। তখন দেশভাগ হয়নি। সেইসঙ্গে ঐতিহাসিকদের মতে, ভারতীয় সমাজব্যবস্থা সিন্ধু সভ্যতারই অবদান হিসেবেই পরিচিত। তাই বিজেপি আসলে নানাভাবে বাংলার ওপর হামলা শুরু করতে চাইছে বলেই মনে করছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর মতে, জাতীয় সঙ্গীতের ওপর আক্রমণ মানে বাঙালির গৌরব ও জাতীয় চেতনার মূলে কঠোরতম আঘাত বলেই মনে করছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেইসঙ্গে তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, বিজেপির এই জাতীয় সঙ্গীত বদলের ভাবনাকে প্রতিবাদ জানাতে তৃণমূল রাস্তায় নামবে। সেই নিয়ে শীঘ্রই তৃণমূলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কোনও ঘোষণা করতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপিকে বাংলায় জিততে হলে বাংলার মানুষের সংস্কৃতিকে বুঝতে হবে

সেখানে কিছুদিন আগেই রাজ্যে সফরে আসার আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা বিশ্বভারতীকে কবিগুরুর জন্মস্থান হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন। যা নিয়ে রাজ্যে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলায় এসে এক শিকারির মূর্তিকে বিরসা মুন্ডার মূর্তি বলে সম্বোধন করেছিলেন।

ফলে বিরোধীদের দাবি, এখন প্রতি পদে পদে বিজেপির বহিরাগত নেতারা বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা বাংলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আর সেখানে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে এই সংযোজন ঘটায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন এই ঘটনায় এখন বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য বিজেপি।

এমনিতেই মূর্তি বিতর্কে জঙ্গলমহলে বিজেপির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তারওপর রবীন্দ্রনাথ বাঙালির হৃদয়ের ঠিক কতটা জুড়ে রয়েছে, সেটা জানা সত্ত্বেও তাঁর জন্মস্থান বিতর্ক দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এবার জাতীয় সঙ্গীত ঘিরে সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর প্রস্তাব মেনে নিলে বিজেপি কার্যত বাঙালির ভাবাবেগে বড়সড় আঘাত করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেখানে এর জেরে বাংলায় বিজেপি আসন্ন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে এর কি প্রভাব পড়বে সেটা খুব একটা কষ্ট কল্পনা হবে না বলেই মনে করছেন অনেকে।

যদিও এখানে বিজেপির একাংশের অভিমত, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে শুধুমাত্র স্বামীর প্রস্তাবের চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়েছে। জাতীয় সঙ্গীতের বদল নিয়ে সরকার বা প্রধানমন্ত্রী এখনও কিছু ঘোষণা করেননি। তাই এখুনই এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া ঠিক হবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!