এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জাতীয়স্তরে বাড়লেও, তাঁর দুই মহা পরিকল্পনায় রাজ্যে বেকারত্বের হার কমিয়ে দিয়েছেন, দাবী মমতার

জাতীয়স্তরে বাড়লেও, তাঁর দুই মহা পরিকল্পনায় রাজ্যে বেকারত্বের হার কমিয়ে দিয়েছেন, দাবী মমতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –দেশজুড়ে করোনা সংক্রমনের ক্রমবৃদ্ধির কারণে গত মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে সমগ্র দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে এই লকডাউন পর্ব, যা বর্তমানে উপনীত হয়েছে আনলক-৩ পর্বে। দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্যে ও দেশে লকডাউন জারি থাকায় দেশের অর্থনীতির যথেষ্ট ক্ষতি হয়ে গেছে। বহু মানুষ হারিয়েছেন রুজি-রোজগার। কেউবা নিজের চাকরি হারিয়েছেন কেউবা হারিয়েছেন বহুদিনের ব্যবসা। এর ফলেই দেশজুড়ে বেকার সমস্যার ক্রমবৃদ্ধি ঘটেছে যা ইতিপূর্বে দেখা যায়নি। বর্তমানে দেশের বেকারত্বের হার ২৪ শতাংশ আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে বেকারত্বের হার যথেস্টইভাবে কমে গেছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত গতকাল বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেকারত্বের ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রকে অভিযুক্ত করলেন সেইসঙ্গে জানানেল, বেকারত্বের এই ভয়াবহ অবস্থার মধ্যেও রাজ্যের বেকারত্ব ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। প্রসঙ্গত গতকাল আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি বিশেষ টুইট করেছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, “রাজ্য সরকার যুব সম্প্রদায়কে স্বাবলম্বী করে তুলতে দায়বদ্ধ। বেকার যুবক-যুবতীদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে সাহায্য করবে সহজ ঋণ এবং সরকারি ভর্তুকির সুবিধা।” এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, নিজেদের মেধা দক্ষতা ও নিজেদের পরিশ্রমী মানসিকতাকে সম্বল করেই এ রাজ্যের যুবক সম্প্রদায় আগামী দিনে তাদের স্বপ্ন সফল করতে চলেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত রাজ্যে বেকারত্বের হার হ্রাস করতে রাজ্যে ‘কর্মসাথী’ নামে একটি বিশেষ প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ্য থেকে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী তিন চার বছরে বার্ষিক এক লক্ষ রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীকে সহজ শর্তে ঋণ দানের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দু লক্ষ টাকা পর্যন্ত লগ্নির প্রকল্পে ঋণ ও ভর্তুকি ব্যবস্থা করবে সরকার। সেই সঙ্গে বেকারদের ছোট উদ্যোগ বা ব্যবসায় উৎসাহ দিতে সমবায় ব্যাংক গুলি তাদের সহজ শর্তে ঋণ ও নানা সুবিধা দান করবে। চলতি বছরের বাজেটে এই ‘কর্মসাথি’ প্রকল্পে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রেখেছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।

অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক ধাক্কা তথা বেকারত্বকে সামাল দিতে, বর্ধিত বেকারত্বের সমস্যার সমাধানকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করেছে যাদের মধ্যে অন্যতম হলো ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি, শিল্প, ব্যবসা বাণিজ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। দেশের বেকার সমস্যার সমাধানকল্পে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র, প্রান্তিক উদ্যেক্তাদের নিজেদের উদ্যোগে উৎসাহিত করার ও তাদের বিশেষ আর্থিক সহায়তা দানের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। তাদের সাহায্যার্থে সরকারের ব্যবস্থাপনায় সহজে ঋণদান ও ভর্তুকি দানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত রাজ্য ও দেশের লকডাউন পর্বে জীবিকাচ্যুত মানুষদের নতুন করে কর্ম দান করতে রাজ্যের তরফ থেকে ‘কর্মসাথী’ প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল। আর এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের টুইট মন্তব্য বেশ প্রণিধানযোগ্য বলে পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত। রাজ্যের অর্থনীতির উন্নয়নে ‘কর্মসাথী’ প্রকল্পটি বিশেষরূপে সহায়ক হয়ে উঠবে বলে তাঁরা ধারণা পোষণ করছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!