এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী!জেনে নিন

নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী!জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দেশকে আত্মনির্ভর করতে উঠে পড়ে লেগেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কারণ দেশের ভবিষ্যত গড়তে গেলে সবার আগে প্রাধান্য দিতে হবে দেশের শিক্ষার্থীদের। কারণ তাদের উন্নতির হাত ধরেই দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে। তাই সেই শিক্ষার্থীদের ঠিক করে গড়ে তোলাই একটা দেশের অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা করতে গেলে আগেই প্রয়োজন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করা। যেখানে আদর্শ শিক্ষা দানই একমাত্র উপায় হবে।

এই চিন্তাধারাকে মাথায় রেখে প্রতি ৫ বছর অন্তর শিক্ষা নীতিকে আধুনিক করার তাগিদে কিছু পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। তবে সেই স্থানে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত নতুন শিক্ষানীতি সম্ভবত ৩৪ বছরের এই শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গিয়ে নতুন কিছু করার দাবি জানিয়েছে। তবে এই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে গিয়েও গলা তুলেছে অনেক রাজ্য। কারো মতে তাদের রাজ্যে এরকম পরিকাঠামো নেই, আবার কারো মতে এই শিক্ষানীতি কোনো অর্থেই শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে না। এছাড়া শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন শিক্ষক শিক্ষিকার। তাদেরও আলাদা করে আগে প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে এত ব্যবস্থা করে হঠাৎ করে এত বছরের এই শিক্ষানীতির বদলের প্রয়োজন কি আদৌ আছে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে হঠাৎ এমন পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা বলতে গেলে উঠে আসে প্রধান মন্ত্রীর কথা। জানা যায়, এই শিক্ষানীতির উদ্দেশ্য বর্তমানে দেশের আশা, আকাঙ্খা পূরণ করা। আর তাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে শিক্ষানীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থার। তাই রাজ্য, কেন্দ্র সরকার থেকে শুরু করে কারোরই শিক্ষানীতিতে সরকারি হস্তক্ষেপ করা কাম্য নয়। কারণ এটা সমগ্র দেশের শিক্ষানীতি। বর্তমানে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা প্রয়োজন। তবে এই প্রতিযোগিতায় যারা অংশগ্রহণ করবে তাদেরই নড়বড়ে। তাই সবার আগে প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ভিত শক্ত করা। আর তাই এই ব্যবস্থা।

বর্তমানে শিক্ষার্থী এবং পরিবারের মধ্যে এই নম্বরের প্রাধান্য যেন কোথাও না কোথাও শিক্ষার্থীকে শেখার আনন্দ থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে। কারণ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে কিছু শেখার থেকে বড় হচ্ছে সে কত নাম্বার পাবে। আর পরিবারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে সেই নম্বর দেখিয়ে সমাজে কে কত এগিয়ে থাকতে পারবে। তাই একটা শিশুকে শিক্ষা দেওয়ার পেছনে সেই শিশুটি কতটুকু শিখছে তার থেকে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে সে কত নম্বর পেয়ে, সমাজে কেমন করে বড় হচ্ছে। আর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন।

কারণ প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ২১শতক হল শিক্ষা, জ্ঞান এবং অভিনবত্বের যুগ। শুধু ভারী স্কুলব্যাগ এবং নম্বরের বোঝার বদলে আসল শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের সমৃদ্ধ হতে হবে। আর তাই এই নতুন শিক্ষানীতির ফলে শিক্ষকদেরও একই সঙ্গে শিক্ষকতার মান উন্নতি করা সম্ভব হবে। হতে কলমে কাজ করার ফলে তারা খুব সহজেই নতুন জিনিস শিখতে পারবে। সেই সঙ্গে সিলেবাসের বোঝা কমলে শেখার আনন্দও বাড়বে। তবে যদিও এই শিক্ষানীতিকে অনেক রাজ্যই মেনে নেয়নি, তাই সারা দেশে কতটা প্রয়োগ করা যাবে এই শিক্ষানীতি সেটা এখনও স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!