এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে তৃণমূলকে প্রবল কটাক্ষ ও হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে তৃণমূলকে প্রবল কটাক্ষ ও হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে ৫০ পাতার একটি রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এই রিপোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে। রাজ্যে প্রচুর ধর্ষণ, খুনের মতো ঘটনা ঘটেছে বলে, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এবার এ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের সামনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, এই রিপোর্টে যা এসেছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। তিনি জানালেন, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশ দেবার পরেও রেশন দেয়া হচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করলেন, একের পর এক পুলিশ আধিকারিককে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে ফোন করে বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হবার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুভেন্দু অধিকারী জানালেন, এই রিপোর্ট পূর্ণাঙ্গ নয়। মাত্র ৬ হাজার মানুষের কথা শুনে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। সমস্ত মানুষের কথা যদি শোনা হয়, তবে ইংরেজ আমলের শাসন ব্যবস্থাকেও হার মানাবে। তিনি অভিযোগ করেছেন, হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশ কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি। বরং সুযোগ করে দিয়ে মধ্যযুগীয় ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ আধিকারিক, ওসি, আইসিরা। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট দেখে কষ্ট হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

কমিশন সমস্ত কিছু জেনে গিয়েছে। তৃণমূলের অপকর্ম এখন গোটা দেশ জানতে পেরেছে। জায়গার নাম করে রিপোর্টে সমস্ত ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ভোটে জেতার পর গত দুমাস ধরে তৃণমূল যা যা করেছে, তার সমস্ত সামনে চলে এসেছে। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি জানালেন, এটা একটি ভুয়ো সরকার। এরপর মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট। সবকিছু মিলিয়ে এই সরকারের দিন ঘনিয়ে এসেছে। তিনি জানালেন, তাঁর বিশ্বাস আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। নিজেদের পাপের কারণে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করেছে এই সরকার। তিনি জানালেন, শাসকের আইন, আইনের শাসন নয়, এই দুটি বাক্যই তৃণমূল সরকারের পতন নিশ্চিত করতে যথেষ্ট।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!