জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট ঘিরে তরজা শুরু তৃণমূল ও বিজেপির কলকাতা তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য July 17, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা করেছে। আর সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে ব্যাপক চাপানউতোর শাসক বিরোধী শিবিরের মধ্যে। কার্যত দীর্ঘদিন ধরেই গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে একাধিক অভিযোগ করা হচ্ছিল। একইভাবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরও ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা সংক্রান্ত ঘটনায় রাজ্যের প্রশাসনকে দায়ী করেছিলেন। এই অবস্থায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টেও এবার একই কথা উঠে আসছে। জানা গেছে, যে রিপোর্ট জমা পড়েছে হাইকোর্টে সেখানে মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে- রাজ্যে আইনের শাসন নেই, বরং শাসকের আইন চলছে। অন্যদিকে কমিশনের রিপোর্টে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে। একই সাথে বলা হয়েছে, যেভাবে রাজ্যে হিংসার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ভোট পরবর্তী সময়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করেই এই রিপোর্টের পেছনে গেরুয়া শিবিরের অঙ্গুলিহেলনের কথা বলেছেন। গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে বিকৃত রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ তোলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাশাপাশি নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাকে রীতিমতো দখল করে কাজে লাগাচ্ছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে আজকে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে স্বাগত জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, যে রিপোর্টে যতটুকু দেখা যাচ্ছে সেটা কিছুই না। বরং এর পেছনে আরও অনেক বড় ঘটনা আছে। একইসাথে তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে একাধিক জায়গায় হিংসার শিকার এখনো বিজেপি কর্মীরা। পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্বেও বিজেপি কর্মীদের রেশন দেওয়া হচ্ছেনা। অন্যদিকে আইন না মেনে রাজ্য পুলিশ দলদাসের ভূমিকা পালন করছেন। তার জন্য শাস্তির দাবি তুলেছেন তিনি। সব মিলিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। এবং এই ঝড়ের মুখে রাজ্যের তৃণমূল সরকার পড়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কার্যত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট এক কথায় বলতে গেলে রাজ্য সরকারকে তীব্র অস্বস্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে রাজ্য সরকার কি বক্তব্য রাখেন হাইকোর্টের অলিন্দে, সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের। আপনার মতামত জানান -