এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > জাতীয় মানবাধিকারের রিপোর্টে তীব্র অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার, কড়া প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রীর নবান্ন থেকে

জাতীয় মানবাধিকারের রিপোর্টে তীব্র অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার, কড়া প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রীর নবান্ন থেকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। কার্যত গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছিল। একই সাথে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। এই নিয়ে হাইকোর্টে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় দুদিন আগে। আর বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। দেখা যায়, মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রতিটি ঘটনার সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। আর এই নিয়েই ব্যাপক নিন্দা করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কার্যত রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং সেখানে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি ঘটনা গুরুত্ব আলাদা। তাই সে ক্ষেত্রে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে এই মামলা দেখা উচিত। পাশাপাশি প্রত্যেকটি মামলা লড়ার জন্য সরকারি আইনজীবী নিয়োগ করার সুপারিশ রয়েছে রিপোর্টে। তবে সামগ্রিকভাবে সিবিআইকে দিয়ে মামলা তদন্ত করার পক্ষেই যুক্তি দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পাশাপাশি তাঁদের রিপোর্টে তৃণমূলের হেভিওয়েট বেশকিছু নেতাদের দুষ্কৃতী বলে অভিহিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে এই রিপোর্ট নিয়ে চাপানউতোর বৃদ্ধি পেয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কার্যত ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য সোচ্চার হয়েছিলেন আক্রান্ত পরিবারগুলি। তাই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন তাঁরা। এরই মধ্যে মামলা চলছিল হাইকোর্টেও। সেখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে হাইকোর্টের নির্দেশানুযায়ী এবার মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এই রিপোর্ট নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকে নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, যে ঘটনাগুলি উল্লেখ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাঁর সবকটি ভোটের আগে।

অর্থাৎ যে সময় রাজ্যের আইন শৃংখলার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে সেসময় রিপোর্টে উল্লিখিত ঘটনাগুলি ঘটেছে। কার্যত মানবাধিকার কমিশন বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন করছে বলেই দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। হাইকোর্টের তরফ থেকে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে 22 শে জুলাই। এবং সেখানেই রাজ্য সরকার এবার তার বক্তব্য রাখবে বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে,  মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট পাওয়ার পর কার্যত গেরুয়া শিবিরের দাবিকেই স্বীকৃতি দেওয়া হলো। পাশাপাশি রাজ্য সরকার পড়লো তীব্র অস্বস্তির মুখে। আপাতত, এই ঘটনা নিয়ে যে আগামী দিনে রাজনৈতিক বিতর্ক বহুগুণে বাড়বে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত থাকা যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!