এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > জাতীয় রাজনীতিতে জোটের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে এবার লেখা তৃণমূলের মুখপত্রে

জাতীয় রাজনীতিতে জোটের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে এবার লেখা তৃণমূলের মুখপত্রে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট দেশের শাসন ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে ইতিমধ্যে সমস্ত বিরোধী দলকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেই সুরে সুর মিলিয়েছেন অনেকেই, যার মধ্যে কংগ্রেস অন্যতম। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সফরে গিয়ে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন। জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপিকে সরাতে গেলে কংগ্রেসের ভূমিকা যে অনস্বীকার্য, সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোর। আর সেই যুক্তিতেই জাতীয় রাজনীতিতে কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে সরাতে কংগ্রেস যে সেরা বিকল্প তা এক প্রকার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে দিনে দিনে।

একথা তৃণমূলের পক্ষ থেকেও যথেষ্ট সমর্থন করা হয়েছে। এবার দলের মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তেও এই প্রসঙ্গ প্রকাশ পেল। শনিবার জাগো বাংলায় এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে। যেখানে কংগ্রেসের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা থাকলেও মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে বিজেপিকে সরাতে গেলে অবশ্যই জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে হবে। এবং প্রবল ইঙ্গিত দেওয়া হল, সেই জোটের স্বপক্ষে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিছুদিন আগেই সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ জাতীয় স্তরে জোটের রাজনীতিকে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।

অন্যদিকে জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে প্রকাশ পেয়েছে এদিন ‘আমরা দেশের স্বার্থে অ-বিজেপি গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির ঐক্যের পক্ষে। আমরা ঐক্য চাই বলেই নেত্রী মমতা ব্যানার্জি দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধীর বাড়ি গিয়ে বৈঠক করেছিলেন। রাহুল গান্ধীও ছিলেন সেখানে। সংসদের ভিতরে বাইরে আমাদের বিজেপি বিরোধী ভূমিকা প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু আমরা চাই একটা নির্দিষ্ট নীতি বা পদ্ধতিতে ঐক্য হোক। আজ হঠাৎ মনে হল, একটা ফোনে বলে দিলাম আমরা মিছিল করছি, চলে আসুন, এটা তৃণমূলের ক্ষেত্রে চলবে না।’ প্রসঙ্গত দেখা গিয়েছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূল একক শক্তিতে বিজেপিকে হারিয়েছে। অন্যদিকে এবারের লড়াইতে বিরোধী শক্তি হিসেবে ময়দানে নেমেছিল বাম-কংগ্রেস জোট।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু অচিরেই তাঁরা শূন্যে পরিণত হয়েছে। কার্যত জাগো বাংলায় এদিন এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কংগ্রেসের সমালোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি নিজেদের ভুলেই যে কংগ্রেস অন্য রাজ্যে এখনও ক্ষমতা বিস্তারে সফল হতে পারেনি সেকথাও বলা হয়েছে। কিন্তু সর্বোপরি জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপিকে সরাতে গেলে অবশ্যই কংগ্রেসের পাশে থাকা প্রয়োজন। আর তাই সে কথা মাথায় রেখে তৃণমূলের দাবি, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভুল শুধরে দিতে হবে। এক্ষেত্রে জোটের কারিগরী প্রযুক্তি বদলে জোট মজবুত করার দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় রাজনীতিতে জোট ক্ষমতার নেতৃত্ব নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য করেননি বরং তিনি বল ঠেলে দিয়েছেন অন্যদের দিকে। কার্যত বিজেপির জনবিরোধী নীতির অবসান ঘটানোই এক্ষেত্রে একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের। এই পরিস্থিতিতে জাগো বাংলার পাতায় যেভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেওয়া হলো তা আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে কোন নতুন দিক নির্ণয় করতে পারে কিনা, সে দিকেই নজর থাকছে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!