এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জাতীয় স্তরে শক্তি বাড়ছে তৃণমূলের! গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে চাপে ফেলে দিলেন এই সাংসদ!

জাতীয় স্তরে শক্তি বাড়ছে তৃণমূলের! গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে চাপে ফেলে দিলেন এই সাংসদ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যাচ্ছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এমনকি রাজ্যপাল বিজেপির কথা মতো কাজ করছে বলে অভিযোগ করে এই রাজ্যপালকে যাতে সরানো হয়, তার জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবার করতেও দেখা গিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের। কিন্তু তারপরেও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কর্ণপাত করা হয়নি। কিন্তু এবার সংসদের অধিবেশনের আগে সর্বদলীয় বৈঠকে রাজভবন বিজেপির পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে বলে খেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন সমাজবাদীর পার্টির এক সাংসদ।

আর সর্বদলীয় বৈঠকের সমাজবাদী পার্টির এক সাংসদ রাজভবনের সঙ্গে বিজেপির যোগের কথা উল্লেখ করতেই রীতিমতো বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে দীর্ঘদিন ধরেই তৃনমূলের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, সেখানে সমাজবাদী পার্টির সদস্যদের পক্ষ থেকে তোলা এই অভিযোগ যে তৃণমূলকে বাড়তি হাতিয়ার পাইয়ে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি এতদিন বিজেপির পক্ষ থেকে কোনো রাজ্যপাল কোনো দলের হয়ে কাজ করেন না, এই যুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির সাংসদ একই অভিযোগ তোলার কারণে গেরুয়া শিবিরও যে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্রের খবর, লোকসভার বাদল অধিবেশনের আগে এদিন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। যেখানে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আর সেই বৈঠকেই রাজভবন কি বিজেপির পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে, সেই ব্যাপারে বিজেপির রাজনাথ সিংহকে একটি প্রশ্ন করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা রামগোপাল যাদব। তিনি বলেন, “আপনি প্রবীণ নেতা। অনেক কিছু দেখেছেন। সংসদীয় অভিজ্ঞতা আপনার অনেক। কেন্দ্র এবং রাজ্যের সম্পর্ক নিয়েও আপনার জ্ঞান রয়েছে। কয়েকটি রাজ্যে রাজভবন তো কার্যত বিজেপির পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে। বিষয়টি আপনাদের দেখা উচিত। রাজ্যপালের ভাষণ, বক্তব্য, চালচলন এবং ট্যুইট, সবই একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে। এমনটা চলতে দেওয়া যেতে পারে না। আপনাদের মত প্রবীণ নেতাদের এই বিষয়টি দেখা উচিত।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই সমাজবাদী পার্টির এই নেতা যে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলিকে তুলে ধরে রাজভবন বিজেপির কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে, এই কথা বোঝানোর চেষ্টা করলেন, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় বৈঠকে উপস্থিত অন্যান্য সাংসদদের কাছে। আর তারপরেই সমাজবাদী পার্টির নেতা রামগোপাল যাদবের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। এতদিন তাদের পক্ষ থেকে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, এবার ভিন রাজ্যের নেতা সেই একই প্রশ্ন তুলে ধরে যেভাবে বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন, তা তৃণমূলের কাছে যে বাড়তি শক্তি এনে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বলা বাহুল্য, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হওয়ার পর থেকেই জগদীপ ধনকরের সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভালো নেই তৃণমূল সরকারের। কথায় কথায় রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে সরকারকে কটাক্ষ করতে দেখা যায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে। আর এই বিষয়টি তুলে ধরেই জাতীয় স্তরে বিজেপির দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্যপাল একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে লাগাতার অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে এবার আর তৃণমূল কংগ্রেস নয়, উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতার পক্ষ থেকে লোকসভার অধিবেশন শুরুর আগে সর্বদলীয় বৈঠকের বিষয়টি নিয়েই তোলা হল আপত্তি।

যাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বক্তব্য যেমন জাতীয় স্তরে প্রাসঙ্গিকতা পেল, ঠিক তেমনই বিজেপি অনেকটাই চাপের মুখে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই সমাজবাদী পার্টির এই নেতার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের মত রাজ্যের কথা তুলে ধরে পরোক্ষে রাজ্যপালকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেল এই সর্বদলীয় বৈঠকে, তাতে বিজেপির পক্ষ থেকে বিরোধী অসন্তোষ কমাতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!